বায়ুদূষণে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন রাজধানী ঢাকা

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বেড়েই চলছে বায়ুদূষণের মাত্রা। দিন দিন ঢাকার বাতাস দূষিত হয়ে উঠছে। টানা কয়েক দিন বাতাসের মান খুবই অস্বাস্থ্যকর ছিল। তারই ধারাবাহিকতায় আজ সকালেও ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় রয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার থেকে এ তথ্য জানা যায়।

১৮৩ স্কোর নিয়ে আজ বায়ুদূষণে শীর্ষে রাজধানী ‘ঢাকা’, যা এখানকার বাতাসের মান নাগরিকদের জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’। একই সময়ে ১৭০ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে নেপালের শহর ‘কাঠমান্ডু’।

এদিকে ১৬৭ স্কোর নিয়ে অস্বাস্থ্যকর শহরের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে সেনেগালের শহর ‘ডাকার’।

আইকিউএয়ার স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়, আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ ও অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।

এ ছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা আইকিউএয়ার ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে। যেমন- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)। বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।

ওয়ার্ল্ড হেলথ অরগানাইজেশনের (ডব্লিউএইচও) মতে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়।

বায়ুদূষণে প্রধানত স্ট্রোক, হৃদ্‌রোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যানসার ও শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ থেকে মৃত্যুর হার বাড়ে।

আরএম/টিএ 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
সোনার চামচ মুখে দিয়ে জন্মাইনি আমরা: গৌরব চট্টোপাধ্যায় Oct 25, 2025
img
ফের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিলেন কমলা হ্যারিস Oct 25, 2025
img
প্রথম দিনেই আরিফুল-মার্শালের সেঞ্চুরি ! Oct 25, 2025
img
দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭ উইকেটে হারিয়ে বড় জয় অস্ট্রেলিয়ার Oct 25, 2025
img
দুর্বৃত্তদের হামলায় পৌরসভার ৩ গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত Oct 25, 2025
img
নতুন ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা সম্পন্ন তুরস্কের Oct 25, 2025
img
দেশের উন্নতি চাইলে দুর্নীতিকে না বলুন : মাসুদ সাঈদী Oct 25, 2025
img
সুষ্ঠু ভোট নিশ্চিতে ইসিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৩৪ প্রস্তাব Oct 25, 2025
img
লাইভে এসে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন সালমান শাহের ভাই Oct 25, 2025
img
বাড্ডায় অবৈধ ব্যানার-ফেস্টুন সরাতে ডিএনসিসির অভিযান Oct 25, 2025
img
পুলিশকে কামড় দিয়ে আসামিকে নিয়ে গেল আ.লীগের কর্মীরা Oct 25, 2025
img
মুক্তিযোদ্ধা ওয়ারিশদের তথ্য দুই মাসের মধ্যে সংরক্ষণের নির্দেশ Oct 25, 2025
img
আমি আর প্রসেনজিৎ ছিলাম টম অ্যান্ড জেরি: ঋতুপর্ণা Oct 25, 2025
img
সালমান শাহর মৃত্যুর দিন পাশের বাসাতেই ছিলাম : দীপা খন্দকার Oct 25, 2025
img
সাইয়ারা’র সাফল্যের পর আবারও পর্দায় অনীত পাড্ডা! Oct 25, 2025
img
দেশের গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখতে ধানের শীষের বিকল্প নেই : দুলু Oct 25, 2025
img
গুম প্রতিরোধে শুধু আইনগত সংস্কার নয়, প্রয়োজন প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারও : আসিফ নজরুল Oct 25, 2025
img
পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের আবর্জনা পরিষ্কার করতে হবে : আফরোজা আব্বাস Oct 25, 2025
img
ঢাকার নদীদূষণ নিয়ন্ত্রণে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় প্রকল্প চূড়ান্ত হয়েছে : রিজওয়ানা Oct 25, 2025
img
যিশু-নীলাঞ্জনার বিচ্ছেদের মাঝে রাহুলের ক্যাপশনে টলিপাড়ায় গুঞ্জন Oct 25, 2025