হর্ন বন্ধ করা আমার দায়িত্ব নয়, আমার দায়িত্ব হচ্ছে আইনটাকে প্রয়োগ করা। আচরণগত পরিবর্তন আনা বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
শনিবার রাজধানীর বিজয় সরণির সামরিক জাদুঘরে আয়োজিত ‘সবুজ জ্বালানি অলিম্পিয়াড ২০২৫’ এ পরিবেশ উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
শব্দদূষণ নিয়ে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘সকলেই আমাকে দেখে বলে আপা হর্ন তো বন্ধ হলো না। আপনি ৫৩ বছর ধরে হর্ন বাজিয়ে যাচ্ছেন, আপনার ড্রাইভার হর্ন বাজায় যাবে; আর আমাকে দেখলেই বলবেন হর্ন বন্ধ হইল না।’
তিনি আরও বলেন, ‘হর্ন বন্ধ করা তো আমার দায়িত্ব না। আমার দায়িত্ব হচ্ছে আইনটাকে প্রয়োগ করা। আচরণগত চেইঞ্জটা জরুরি।’শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে ২০০৬ সালে করা হয় ‘শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা’। এতে রাজধানীতে শব্দের গ্রহণযোগ্য সর্বোচ্চ মাত্রা সময় ও এলাকাভেদে আলাদা করে দেওয়া আছে। নীরব এলাকায় রাতে সর্বোচ্চ মাত্রা ৪০ ডেসিবল আর দিনে ৫০। আবাসিক এলাকায় রাতে ৪৫ ও দিনে সর্বোচ্চ ৫৫ ডেসিবল শব্দ করা যাবে।
মিশ্র এলাকায় যথাক্রমে ৫০ ও ৬০ ডেসিবল, বাণিজ্যিক এলাকায় ৬০ ও ৭০ ডেসিবল শব্দ গ্রহণযোগ্য। শিল্প এলাকায় তা রাতে ৭০ এবং দিনে সর্বোচ্চ ৭৫ ডেসিবল শব্দ করা যাবে।
একটি গাড়িতে যেহেতু একটিই হর্ন থাকে, তাই তা ৪০ ডেসিবলের নিচে থাকার কথা। কিন্তু ঢাকার গাড়িতে হর্ন যে এর চেয়ে বেশি মাত্রায় বাজে, সেটা পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযানেই দেখা গেছে।
সরকার পতনের পর গত বছরের ১ অক্টোবর থেকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সংলগ্ন এলাকা ও এর উত্তর-দক্ষিণে দেড় কিলোমিটার (স্কলাস্টিকা স্কুল থেকে হোটেল লো মেরিডিয়ান পর্যন্ত) এলাকাকে সম্প্রতি শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা, ২০০৬ এর বিধি-৪ অনুযায়ী ‘নীরব এলাকা’ ঘোষণা করা হয়।
এরপর জানুয়ারি মাস থেকে আরও ১০টি সড়ক ‘নীরব এলাকা’ করার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে রিজওয়ানা জানিয়েছিলেন।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ভয়ঙ্কর পৃথিবী রেখে যাওয়া হচ্ছে; যেখানে নজিরবিহীন বন্যা এবং ঘূর্ণিঝড়ের পৌনঃপুনিকতা মারাত্মকভাবে বেড়ে যাবে।’
তরুণদের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে সম্পৃক্ততার বিষয়ে রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘এই সরকারই তরুণদের। তারমানে এই নয় আমি নিজেকে তরুণ দাবি করছি। বাংলাদেশের ইতিহাসে এটাই প্রথম তিনজন তরুণ উপদেষ্টা পরিষদে সদস্য হয়েছিলেন। তারা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব করছিলেন এবং করছেন।’
এমআর/এসএন