ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে গৃহবধূ খায়রুন আক্তার (৩০) এর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ, যা এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। পরিবারের দাবি, সন্তান না হওয়ার কারণে শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা তাকে হত্যা করেছে।
ঘটনা উপজেলার দুওসুও ইউনিয়নের সনগাঁও গ্রামে ঘটেছে। খায়রুন আক্তার ওই গ্রামের তাজমুল হকের (৩৫) স্ত্রী এবং একই ইউনিয়নের জিয়াখোর গ্রামের সাদেকুল ইসলামের মেয়ে। পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৭ বছর আগে পারিবারিকভাবে খায়রুনের বিয়ে হয় এবং বিয়ের পর থেকে সন্তান না হওয়ায় তাকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করা হতো। পরিবারের অভিযোগ, স্বামী তাজমুল হক, শাশুড়ি দরিফন বেগম এবং চাচি শাশুড়ি দুলালি বেগম এই নির্যাতনে জড়িত।
খায়রুনের মা আলেয়া বেগম ও ভাই আলমগীর অভিযোগ করেন, তাদের মেয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে এবং তারা বিচার চেয়ে হত্যাকারীদের ফাঁসি দাবি করেন।
স্থানীয়রা জানান, রোববার (২০ এপ্রিল) রাতে খায়রুন খাওয়া-দাওয়া শেষে ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে গরু বের না করায় তার খোঁজ শুরু হয় এবং বাড়ির পাশের শ্বশুরের কবরের ওপর হাত বাঁধা অবস্থায় মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
এদিকে, শাশুড়ি দরিফন বেগম অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তিনি ও তার জামাই সকালে মরিচক্ষেতে ছিলেন এবং এই ঘটনার বিষয়ে কিছু জানেন না। চাচা শ্বশুর এ কে এম মানিক জানান, রাতে খায়রুন ঘুমিয়ে পড়েছিল এবং সকালে তার খোঁজ নেওয়ার সময় শ্বশুরের কবরের পাশে মরদেহ পাওয়া যায়।
বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত আলী সরকার বলেন, পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এসএস/এসএন