চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে দুই পৌরসভা ও ছয় ইউনিয়ন পরিষদসহ প্রায় দুই শতাধিক পদের দায়িত্বভার একাই কাঁধে নিয়ে রীতিমত দায়িত্ব পালন করছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী।
জানা গেছে, উপজেলায় মাধ্যমিক পর্যায়ে স্কুল-মাদরাসা মিলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৯২টি। তার মধ্যে কয়েকটি উচ্চ বিদ্যালয়ে অ্যাড হক কমিটি থাকলেও অবশিষ্ট প্রতিষ্ঠানে এখনো সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন ইউএনও। এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন-ভাতার কাগজে স্বাক্ষর করতে হয় ইউএনওকে। দেখতে হয় তাদের ফাইলপত্রও।
এ ছাড়া, উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতি হিসেবে তাঁকে চারজনের অ্যাড হক কমিটির মাধ্যমে ২২৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দায়িত্বও সামলাতে হচ্ছে।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কয়েকটি কমিটিতে উপদেষ্টা এবং ৮-১০টি কমিটির সভাপতির দায়িত্বে থাকেন। তারা না থাকায় উপজেলা পরিষদ প্রশাসক হিসেবে সব কমিটির দায়িত্ব এখন ইউএনওর কাঁধে।
একইভাবে পৌর মেয়র-কাউন্সিলরদের অপসারণ করায় ফটিকছড়ি ও নাজিরহাট পৌরসভার প্রশাসকের দায়িত্বও পালন করছেন তিনি।
এদিকে, দীর্ঘ সময় ধরে এ উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) না থাকায় ইউএনও'র উপর দায়িত্ব আরো বেড়েছে।
আইন-শৃঙ্খলা কমিটি থেকে শুরু করে শিক্ষা, কৃষি উন্নয়ন, প্রতিবন্ধী ভাতা, হাটবাজার ব্যবস্থাপনা, বয়স্ক-বিধবা ভাতা ও স্বামী নিগৃহীত ভাতা, মাতৃত্ব ভাতা, চোরাচালান প্রতিরোধ, টেন্ডার, টিআর-কাবিটা, বিভিন্ন দিবস উদযাপনসহ উপজেলা পর্যায়ে সরকারি দপ্তরগুলোর বিভিন্ন কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন ইউএনও। বাড়তি দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তিনি সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ছুটে চলেছেন।
ইউএনও মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘সরকার পরিবর্তনের পর আগের চেয়ে দায়িত্ব অনেক বেড়েছে। তবে এটিকে আমি চাপ বা বোঝা মনে না করে জনগণকে সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি।’
আরএম/টিএ