বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁর ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিককে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাফিজ আহসান ফরিদ।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে এবং আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা কাজ শুরু করেছি। তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য দুদক প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মুখে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে হত্যা, গুম, দুর্নীতি, জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে একাধিক মামলা হয়।
ক্ষমতার অপব্যবহার ও জালিয়াতি করে রাজউকের আবাসন প্রকল্পে ১০ কাঠা করে ৬০ কাঠার প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে ৬টি মামলা করেছে দুদক।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিককে দেশে ফেরত আনা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে হাফিজ আহসান ফরিদ বলেন, আমরা এখান থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে নথি পাঠিয়েছি। যেটাকে মিউচুয়াল লিগ্যাল এসিস্ট্যান্স রিকোয়েস্ট’ (এমএলএআর) বলে। পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তা বিদেশি দূতাবাসে যাবে। সেখান থেকে বাংলাদেশের এম্বাসিতে যাবে। সেই কাজ আমরা শুরু করেছি। তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য দুদক প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
টিউলিপ সিদ্দিকীকে ফিরিয়ে আনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশে কীভাবে ফিরিয়ে আনা যায়, এর আইনি প্রক্রিয়া সম্পর্কে আমি বলতে পারছি না। তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে। তাকে যেসব চিঠি পত্র দেওয়া হয়েছে- তা তার বাংলাদেশি ঠিকানায় দেওয়া হয়েছে। তাকে বিদেশি নাগরিক হিসেবে বিবেচনা করছি না। মামলা যখন হয়ে গেলো, তিনি বিদেশে অবস্থান করছেন। তাকে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
শেখ হাসিনাকে ফেরত আনতে রেড এলার্ট জারি করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, রেড অ্যালার্ট নিয়ে আমার কোনো ধারণা নেই। এটি এখনো কমিশনে আলোচিত হয়নি।
এটি কবে আলোচিত হবে জানতে চাইলে কমিশনার বলেন, পরবর্তী কমিশন সভায়, এ সপ্তাহে যদি না হয়, আগামী সপ্তাহে হবে।
শেখ হাসিনাকে ফেরত আনতে কি ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এরমধ্যে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তাকে (শেখ হাসিনা) ফেরত পাঠানোর জন্য। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক দুর্নীতি দমন সংস্থার সঙ্গে আমাদের চুক্তি পর্যায়ে রয়েছে। চুক্তি হয়ে গেলে আমরা তাদের কাছ থেকে সাহায্য পাবো।
আরএ/টিএ