পঞ্চগড় জেলা শহরের এক জুয়েলারি দোকান থেকে ৫০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার চুরির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সদর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। চুরির ঘটনায় দিনভর জুয়েলারি দোকান বন্ধ রেখে প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন পঞ্চগড় জেলা শাখা। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ভোররাতে গিনি হাউজ জুয়েলার্সে এ চুরির ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, ওই জুয়েলারির মালিক লব বণিক। সোমবার ছিল তার মেয়ের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান। গায়ে হলুদের পর মঙ্গলবার দিনব্যাপি বিয়ের আয়োজন। বিয়ের আয়োজনে বাড়ি ভর্তি মেহমানে আনন্দে মাতামাতি হলেও মঙ্গলবার সকাল লব বণিকের শুভকর হলো না। সকালে দোকানে গিয়ে দেখেন তালা কেটে দোকানের সব স্বর্ণালঙ্কার চুরি হয়ে গেছে।
পরে সিসি ক্যামেরায় দেখা যায়, ১১/১২ জনের একটি সংঘবদ্ধ চোরচক্র ভোর ৬ টায় দোকানের তালা কেটে প্রবেশ করে লকার ভেঙে তৈরি গহনাসহ ৫০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার চুরি করে নিয়ে গেছে। এমন ঘটনায় দিশেহারা পড়েছেন ওই জুয়েলারি মালিক।
গিনি হাউস জুয়েলার্সের মালিক লব বণিক জানান, সোমবার রাতে বাড়িতে মেয়ের বিয়ের গায়ে হলুদ নিয়ে আনন্দ করছিলাম। সকালে ভাগ্নে নন্দ দত্তকে দোকান খুলতে পাঠালে সে দেখে দোকানের দুটি তালাই কাটা। দোকান খুলে ভেতরে দেখে তৈরি গহনার মালামালগুলো একটিও নেই। লকারের ভেতর রাখার সোনাগুলোও নেই।
আমার ৫০ ভরির মতো স্বর্ণালঙ্কার ও স্বর্ণ চুরি হয়েছে। এতে প্রায় ৭৫ লাখ টাকার মতো আমার খোয়া গেছে। মেয়ের বিয়ের আনন্দ বিষাদে পরিণত হয়েছে। পুলিশের কাছে অনুরোধ দোষীদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা যেন নেওয়া হয়। হারিয়ে যাওয়া সোনাগুলো যেন উদ্ধার করে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন পঞ্চগড়ের সাধারণ সম্পাদক মধুসুধন বণিক রনি বলেন, ফজরের পর গার্ডরা বাড়িতে চলে যান। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায় এই ফাঁকে ৫টা ৫৪ মিনিটে ১১/১২ জনের একটি চোরচক্র দোকানের তালা কেটে প্রবেশ করে অন্তত ৫০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালিয়ে যায়।
কয়েকজনের মুখে মাস্ক থাকলেও বেশিরভাগের মুখে কোনো মাস্ক ছিল না। তবে ফেসগুলো অপরিচিত। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী দোকান মালিকের পক্ষ থেকে থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে। এমন চুরির ঘটনার প্রতিবাদে আমরা আজ সারাদিন সব জুয়েলারি দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেই।
পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লা হিল জামান জানান, ঘটনা জানার পর আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। চুরির সাথে জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করতে ও মালামাল উদ্ধারে কাজ করছে পুলিশ। এ ঘটনায় মামলা হবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
এমআর/টিএ