সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদের বৈধতা প্রশ্নে রুল শুনানি শুরু

বিচার বিভাগের নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদের বৈধতা প্রশ্নে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শুরু হয়েছে।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে বিচারপতি আহমেদ সোহেল ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়।
শুনানিতে রিটের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ বিদ্যমান থাকার কারণে বিচারকদের ভয় দেখিয়ে কাজ করানো হয়। না শুনলে বান্দরবান বদলি করা হয়।

বিচার বিভাগের নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট আবেদন নিষ্পত্তির জন্য হাইকোর্টে বেঞ্চ গঠন করে দেন প্রধান বিচারপতি।

গত ২০ এপ্রিল প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ এ বেঞ্চ নির্ধারণ করেন।

এর আগে, মামলাটি বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি ও নিষ্পত্তির অপেক্ষায় ছিল। তবে গত ২৪ মার্চ বিচারপতি ফারাহ মাহবুব আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় সেই বেঞ্চটি ভেঙে যায়। এরপর সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ সংক্রান্ত মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য নতুন বেঞ্চ নির্ধারণের আবেদন করেন রিটকারী আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। তিনি গত বছরের ২৫ আগস্ট ১০ জন আইনজীবীর পক্ষে মূল সংবিধানের ১৯৭২ সালের ১১৬ অনুচ্ছেদ পুনর্বহালের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করেন। পরে হাইকোর্ট রুল জারি করে জানতে চায়—বিদ্যমান সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না। নতুন বেঞ্চে রুলের শুনানি শিগগিরই শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

বর্তমানে প্রযোজ্য (সংশোধিত) সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘অধস্তন আদালতের দায়িত্ব পালনরত ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণ (কর্মস্থল নির্ধারণ, পদোন্নতি, ছুটি মঞ্জুরিসহ) ও শৃঙ্খলা বিধানের দায়িত্ব রাষ্ট্রপতির ওপর ন্যস্ত থাকবে।’ কিন্তু ১৯৭২ সালের মূল সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছিল, ‘বিচারকার্য বিভাগে নিযুক্ত ব্যক্তিদের এবং বিচার বিভাগীয় দায়িত্বে নিযুক্ত ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলা বিধান সুপ্রিম কোর্টের ওপর ন্যস্ত থাকবে।’

বিদ্যমান সংবিধান অনুযায়ী বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের নিয়োগ, পদায়ন, বদলি, পদোন্নতি, ছুটি ও শৃঙ্খলাবিধির ক্ষেত্রে নির্বাহী বিভাগের প্রভাব রয়েছে, যা বিচার বিভাগের স্বাধীনতার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

এফপি/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
"নতুন দলের এত টাকা কোথা থেকে আসে?"— রুমিন ফারহানার প্রশ্ন Apr 23, 2025
img
একদিন পরই কমলো সোনার দাম Apr 23, 2025
img
রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারে ৩ সপ্তাহের আল্টিমেটাম শিবিরের Apr 23, 2025
img
বাংলাদেশে অনেক আরাকান আর্মি বিয়ে করেছে, যা অস্বীকার করা যাবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Apr 23, 2025
img
৬০০ কোটির ক্লাবে ছাভা, ইতিহাস গড়লেন ভিকি কৌশল Apr 23, 2025
img
দলগুলোর একমতের বিষয়গুলো কেন জাতিকে জানানো হচ্ছে না, প্রশ্ন আমীর খসরুর Apr 23, 2025
img
বাংলাদেশের হয়ে মিরাজের অনন্য রেকর্ড Apr 23, 2025
img
এবার গৃহকর্মীর বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করলেন পরীমনি Apr 23, 2025
img
সালমান রহমানের টাকা খেয়ে যার স্বাস্থ্য মোটা হয়েছে, সেও আমার বিরুদ্ধে কথা বলেন: মির্জা আব্বাস Apr 23, 2025
img
বাবা বলেছিলেন, ‌আমায় ছাড়া কাশ্মীর দেখো না : শাহরুখ Apr 23, 2025