বগুড়ায় বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে এক স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমানে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ওই ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী । মঙ্গলবার শহরের একটি আবাসিক হোটেলে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
আজ বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়া সদর থানা পুলিশের ওসি এসএম মঈনউদ্দিন।
ধর্ষণের শিকার ভুক্তভোগী ওই কিশোরী বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা ও স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। অভিযুক্ত বগুড়া সদরের নামুজা গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
কিশোরীর স্বজনরা জানান, ওই কিশোরীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে নামুজা এলাকার ইমরান আলী নামের এক ছেলের সঙ্গে পরিচয় হয়। কিছুদিন প্রেমের সম্পর্ক চলার পর মঙ্গলবার বিকেলে ইমরান তাকে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে নিয়ে যায়। পরে ঠেঙ্গামারা এলাকায় নিয়ে কৌশলে ধর্ষণ করেন। বাড়ি ফিরে কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়লে তারা বিষয়টি জানতে পারেন। পরে তাকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
এ দিকে ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর বাবা জানান, তার মেয়ের সঙ্গে পাশের গ্রামের এক কিশোরের মুঠোফোনের মাধ্যমে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। সকালে স্কুলে যাওয়ার কথা বলে কিশোরীটি তার ছেলে বন্ধুর সঙ্গে বগুড়া সদরের একটি ইকো পার্কে ঘুরতে যায়। সেখান থেকে তাকে প্রলোভন দেখিয়ে শহরের একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে ওই ছেলের বন্ধু। পরে বিকেলে বাড়ির ফেরার পথে ওই কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়লে সেই ছেলে বন্ধু পালিয়ে যায়। এ সময় স্থানীয়রা কিশোরীকে উদ্ধার করে স্বজনদের খবর দিলে পরে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়।
এ বিষয়ে বগুড়া সদর থানা পুলিশের ওসি এস এম মঈনউদ্দিন বলেন, ভুক্তভোগী কিশোরী আশঙ্কামুক্ত রয়েছেন। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অভিযুক্তকে আটকের চেষ্টা চলছে।
আরএ/টিএ