গ্রাম বাংলার অনেক পুরনো একটি ফল ডুমুর। অনেকে ফেলনা ভেবে ফেলে দেন এই ফল। তবে বর্তমানে এই ফলের খুব একটা দেখা পাওয়া যায় না। এই ফল অনেকেই খেতে চান না।কিন্তু এই ফলের অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। আর তা জানুন আজকের প্রতিবেদনে।
ডুমুরের পুষ্টিগুণ
কেউ কাঁচা খান, কেউ বা রান্না করে, আবার কেউ অন্যান্য ফল বা বিভিন্ন কিছু মিশ্রণে ভর্তা বানিয়ে খান। এই ফলের রয়েছে নানা পুষ্টিগুণ।জিঙ্ক, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, খনিজ, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ফাইবার সমৃদ্ধ এই ডুমুর খেলে আপনি অনেক রোগ থেকে মুক্তি পাবেন। এ ছাড়া ডুমুর খেলে আর কী কী উপকার তা জেনে নিন।
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে
ডুমুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। যা খেলে আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।তা ছাড়া ক্লোরোজনিক এসিড থাকে। রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। স্মুদি, কনফ্লেক্সের সঙ্গে ডুমুর খেতে পারেন। আবার ডুমুরের তরকারি করে খেতে পারেন। যারা সুগারে ভুগছেন তারাও কিন্তু নিত্যদিন ডুমুর খেতে পারেন।
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হবে
ডুমুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। আর ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমাতে খুব কাজে লাগে। কোষ্ঠকাঠিন্য, পাইলসের সমস্যায় ভুগলে আপনি কিন্তু অবশ্যই ডুমুর খাবেন। আবার মলকে নরম করতেও ডুমুর খাওয়া খুব দরকার।
ওজন কমবে
অনেকেই ওজন কমানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন। কিন্তু কিছুতেই ওজন কমাতে পারছেন না। তারা যদি এই ফল প্রতিদিন খান, তবে উপকার পাবেন। ডুমুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। এই ফলে ক্যালরির পরিমাণ কম থাকে। ডুমুর বেশি খেলে আপনার পেট অনেকক্ষণ ভর্তি থাকবে।
হাড় মজবুত থাকবে
আপনি যদি হাড় মজবুত রাখতে চান, তাহলে অবশ্যই ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ ডুমুর খান। ডুমুর খেলে আপনার শরীরে ক্যালসিয়াম তৈরি হবে। ক্যালসিয়ামের ঘাটতি থাকবে না। হাড় মজবুত হবে। এতে সহজে কিন্তু হাড় ভেঙে যাবে না।
হার্ট ভালো থাকে
হার্ট ভালো রাখতে ডুমুরের জুড়ি মেলা ভার। কারণ, ডুমুরে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। যা আপনার শরীরের ফ্রি-র্যাডিকেল দূর করতে সাহায্য করবে।
গবেষণায় দেখা গেছে, ডুমুর যদি প্রতিদিন খেতে পারেন তবে কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি কমবে। এমনকি আপনার হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমবে। আপনি যদি কোনো রোগে আক্রান্ত থাকেন তাহলে ডুমুর খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।
এমআর/টিএ