সাবেক এপিএসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ : যা বলছেন আসিফ মাহমুদ

অন্তর্বর্তী সরকারে দায়িত্ব নেওয়ার পর বন্ধু মোয়াজ্জেম হোসেনকে সহকারী একান্ত সচিব বা এপিএস পদে নিয়োগ দিয়েছিলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। সেই এপিএস মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে তদবির বাণিজ্যের অভিযোগ সংক্রান্ত খবর প্রকাশ হয় সম্প্রতি।

একই অভিযোগ স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগমের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (ছাত্র প্রতিনিধি) তুহিন ফারাবি ও ডা. মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধেও। তদবির বাণিজ্যের অভিযোগ ওঠার পর মোয়াজ্জেম হোসেন ও তুহিন ফারাবিকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

২১ এপ্রিল মোয়াজ্জেম হোসেন এবং তুহিন ফারাবিকে অব্যাহতি দিয়ে সরকারি আদেশ জারি হয়।

মোয়াজ্জেম হোসেনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়নি বরং সে নিজে পদত্যাগ করেছেন বলে দাবি করেছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। পদত্যাগের পেছনে এসব অভিযোগের কোনো ভূমিকা নেই বলেও দাবি তার।

তিনি বলেন, "ওর (মোয়াজ্জেম হোসেন) আগে থেকেই বিসিএসকেন্দ্রিক চিন্তা ছিল।

স্থায়ী চাকরির সুযোগ আসলে অস্থায়ী চাকরিটা ছেড়ে দেওয়ার কথাও বলছিল।"

এপিএসের পদত্যাগের পর 'নেগেটিভ ক্যাম্পেইন' হতে পারে বিষয়টি আগেই আলোচনা হয়েছে তাদের। আসিফ মাহমুদ বলেন, "পদত্যাগ করলে নেগেটিভ ক্যাম্পেইন হতে পারে, এ ব্যাপারে আমরা আলোচনা করেছিলাম। তারপরও মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে অবশ্যই দুদককে ইনভলভ্ করব।"

এদিকে দুর্নীতি দমন কমিশন- দুদক জানিয়েছেম, তাদেরকে কেন্দ্র করে ওঠা অভিযোগগুলোর বিষয়ে আইন মেনেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সাবেক এপিএস মোয়াজ্জেম হোসেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা ছিলেন।

অভিযোগ উঠেছে, সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে নিয়োগ ও বদলি বাণিজ্য, টেন্ডার বাণিজ্য এবং ফ্যাসিবাদের দোসর প্রকৌশলীদের পুনর্বাসনের মাধ্যমে শতকোটি টাকা হাতিয়েছেন তিনি। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী থেকে উপজেলা প্রকৌশলী পর্যন্ত প্রায় সব গ্রেডের কর্মকর্তার বদলি-পদায়নে তদবির বাণিজ্য করেছেন।

এফপি/টিএ

Share this news on: