গরমকালে ত্বকে সংক্রমণের ঝুঁকি অন্যান্য সময়ের তুলনায় অনেক বেশি বেড়ে যায়। বিশেষ করে তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারীরা এই সময় ব্রণ ও ফুসকুড়ির সমস্যায় বেশি ভোগেন। যাদের মেটাল অ্যালার্জি রয়েছে, তাদের জন্য আংটি, চুড়ি বা ঘড়ির বেল্ট থেকেও হতে পারে চুলকানি ও ছোট ছোট ফুসকুড়ি।
ত্বক খসখসে হয়ে যায়, অনেকের আবার আঁশের মতো চামড়া উঠতে থাকে।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলে ‘ডাইশিড্রোটিক এগজিমা’। যা ওষুধ বা মলমে চট করে সারে না।
এছাড়া এগজিমার সমস্যাও হয় অনেকের। আঙুলের মাঝের ত্বকে, গলা, হাতের কনুই, হাতের কব্জিতে ত্বক শুষ্ক হয়ে ফেটে যাওয়া, চুলকানি, খসখসে হয়ে যাওয়া, ফোস্কা পড়া এগজিমার অন্যতম লক্ষণ। একে বলে ‘অ্যাটপিক ডার্মাইটিস’। এই ধরনের সমস্যা হলে গরমে কষ্ট আরও বাড়ে।
চুলকানির এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান পেতে হলে কিছু উপায় মেনে চলতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
কম ক্ষারযুক্ত সাবান
ভেষজ সাবানই ব্যবহার করা ভালো। অতিরিক্ত ক্ষার দেওয়া সাবান ব্যবহার করলে ও দিনে বেশি বার ব্যবহার করলে তা থেকে অ্যালার্জি বাড়বে।
ল্যাভেন্ডার তেল
ল্যাভেন্ডার তেল ত্বকের জ্বালা, চুলকানি, র্যাশ দূর করতে পারে। সোরিয়াসিসের সমস্যা থাকলেও এই এসেনশিয়াল অয়েল ব্যবহার করা যায়। এক কাপ জলে ৫-৬ ফোঁটা ল্যাভেন্ডার অয়েল মিশিয়ে তুলোয় করে র্যাশের জায়গায় লাগিয়ে রাখুন। এতে জ্বালা-চুলকানি অনেক কমে যাবে।
পেপারমিন্ট তেল
যে কোনো ব্যথা, ক্ষত সারাতে কাজে লাগে পেপারমিন্ট তেল। যেখানে জ্বালা বা চুলকানি হচ্ছে, সেই জায়গায় এই তেল মালিশ করলে প্রদাহ কমে যায় চটজলদি। ব্যথার জায়গায় শীতল অনুভূতি এনে দেয় এই তেল।
অ্যাপল সাইডার ভিনিগার
এক কাপ পানিতে ২-৩ ফোঁটা অ্যাপল সাইডার ভিনিগার মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ তুলোয় করে নিয়ে র্যাশের জায়গায় লাগাতে হবে। খুব তাড়াতাড়ি প্রদাহ কমে যাবে।
শিয়া বাটার মাস্ক
আধ কাপ শিয়া বাটারের সঙ্গে আধ কাপ নারকেল তেল মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণে এক কাপ পানি দিয়ে ভালো করে ফোটাতে হবে। ফুটে গেলে ঠান্ডা করে তাতে ১ চা-চামচ ভিটামিন এ তেল ও কয়েক ফোঁটা ইউক্যালিপটাস তেল মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ স্নানের আগে নিয়মিত ত্বকে মাখলে এগজ়িমা বা র্যাশের সমস্যা কমে যাবে। ত্বকের অ্যালার্জিও সেরে যাবে।
আরএম/এনএস