বর্তমান শাসন ব্যবস্থার পরিবর্তন প্রয়োজন : আলী রীয়াজ

জনগণের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা থেকে সংস্কার কমিশনগুলো গঠিত হয়েছে। জনগণের এই আকাঙ্ক্ষাকে পূর্ণতা দিতে রাষ্ট্রের সংস্কার দরকার এবং বর্তমান শাসন ব্যবস্থার পরিবর্তন প্রয়োজন। এ মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।রোববার (২৭ এপ্রিল) জাতীয় সংসদ ভবনের এল ডি হলে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।

আলোচনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন।
 
অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, জনগণের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা থেকে সংস্কার কমিশনগুলো গঠিত হয়েছে। জনগণের এই আকাঙ্ক্ষাকে পরিপূর্ণতা দিতে রাষ্ট্রের সংস্কার দরকার। গত ৫৩ বছর ধরে আমরা এমন শাসন ব্যবস্থা দেখেছি, যা ফ্যাসিবাদ তৈরি করতে পারে। এই শাসন ব্যবস্থার পরিবর্তন প্রয়োজন।
 
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপনের নেতৃত্বে আট সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দলে দলটির সিনিয়র সভাপতি তানিয়া রব ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট ছানোয়ার হোসেন তালুকদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ সিরাজ মিয়া, অ্যাডভোকেট কে এম জাবির, মোহাম্মদ তৌহিদ হোসেন, কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী এবং ডা. হেলালুজ্জামান আহমেদ।

সংস্কার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য গঠনের উদ্দেশে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠিত হয়েছে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এ কমিশনের কার্যক্রম শুরু হয়।

উল্লেখ্য, প্রথম পর্যায়ে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর মধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লিখিত গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর ওপর রাজনৈতিক দলের সুনির্দিষ্ট মতামত জানাতে অনুরোধ করে সুপারিশগুলোর স্প্রেডশিট আকারে ৩৯টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়।

এ পর্যন্ত ৩৫টি রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে কমিশন মতামত পেয়েছে। সংস্কার কমিশনগুলোর করা সুপারিশ চূড়ান্ত করতে গত ২০ মার্চ থেকে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। ইতোমধ্যে ১৯টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনা শেষ করেছে কমিশন।

এমআর/টিএ


Share this news on:

সর্বশেষ

img
শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার প্রকাশ করায় ভারতীয় ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে তলব Nov 12, 2025
img
হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন ধর্মেন্দ্র, বন্ধুকে দেখতে ছুটলেন অমিতাভ বচ্চন Nov 12, 2025
img
সিঙ্গেল মা হিসেবে প্রতিদিনের চ্যালেঞ্জ শেয়ার করলেন সানিয়া মির্জা Nov 12, 2025
img
তুরস্কের সামরিক বিমান দুর্ঘটনায় ২০ সেনা নিহত Nov 12, 2025
জয়ার ওয়েস্টার্ন লুক ভক্তদের মন কেড়েছে | Nov 12, 2025
img
সমুদ্র বিলাসে মগ্ন প্রভা! Nov 12, 2025
ইয়ামালকে নিয়ে স্পেন-বার্সার যুদ্ধ Nov 12, 2025
রাজধানীতে বিএনপির আলোচনা সভা - কথা বলছেন রাশেদ খান Nov 12, 2025
যুক্তরাষ্ট্রে যথেষ্ট প্রতিভাবান মানুষ নেই: ট্রাম্প Nov 12, 2025
মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতার দিবস হচ্ছে ৫ই আগস্ট: রিজভী Nov 12, 2025
img
বগুড়ায় লকডাউনের ব্যানারসহ আটক ৩ Nov 12, 2025
১৩ নভেম্বর কি আ.লীগের রাজনৈতিক পুনরুত্থানের ইঙ্গিত নাকি শুধুই হাঁকডাক? Nov 12, 2025
img
এই মুহূর্তে গণভোট ও সংসদ নির্বাচন আলাদাভাবে করার বাস্তবতা নেই: নুর Nov 12, 2025
img
ইভ্যালির রাসেল-শামীমার ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত Nov 12, 2025
বিএনপির সমালোচনায় নাসির পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে ক্ষেপলেন ডা. জাহিদ Nov 12, 2025
img
রাতে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার, পরদিন বিকেলে জামিন Nov 12, 2025
কোটি টাকার ‘কালো মুক্তা’, স্টার্জন মাছের ডিমের রহস্য Nov 12, 2025
img
ঢাকা লকডাউন’কেন্দ্র করে বিভিন্ন বেসরকারি স্কুল-বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত Nov 12, 2025
img
বিএনপি শক্তি প্রদর্শন না করায় সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলো পেয়ে বসেছে : জাহেদ উর রহমান Nov 12, 2025
img
এবার ধোলাইপাড়ে বাসে আগুন Nov 12, 2025