ইরানের বৃহত্তম বাণিজ্যিক বন্দরে শনিবার ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে অন্তত ৪০ জনে। এ ছাড়া আহত হয়েছে আরো ১২০০ জনেরও বেশি মানুষ। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বিস্ফোরণের ঘটনা তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন। ঘটনার পর হরমুজগান প্রদেশে তিন দিনের শোক ঘোষণা করা হয়েছে।
এছাড়া সরকার সোমবার সারা দেশে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করেছে। খবর ইয়েনি সাফাকের।
রবিবার এক বিবৃতিতে খামেনি ঘটনাটিকে ‘হৃদয়বিদারক’ বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি নিরাপত্তা ও বিচার বিভাগীয় কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি সুষ্ঠুভাবে তদন্তের নির্দেশ দেন।
এই ধরনের মর্মান্তিক ঘটনা প্রতিরোধের জন্য সকল কর্মকর্তাকে নিজেদের দায়িত্বশীল জায়গা থেকে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের শহীদ রাজাই বন্দরে শনিবার বিস্ফোরণটি হয়, যা হরমুজ প্রণালির কাছে অবস্থিত। এ প্রণালি দিয়ে বিশ্বের মোট তেলের এক-পঞ্চমাংশ পরিবাহিত হয়।
দম বন্ধ করা ধোঁয়া ও বায়ুদূষণ এলাকায় ছড়িয়ে পড়ায় রবিবার বন্দরের প্রায় ২৩ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত হরমুজগান প্রদেশের রাজধানী বন্দর আব্বাসের সব স্কুল ও অফিস বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়, যাতে কর্তৃপক্ষ জরুরি সহায়তায় মনোযোগ দিতে পারে।
এ ছাড়া স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বাসিন্দাদের ‘পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত’ ঘরের বাইরে না যাওয়ার এবং সুরক্ষামূলক মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে।
নিউইয়র্ক টাইমস ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) সঙ্গে সম্পর্কিত এক ব্যক্তির বরাত দিয়ে জানিয়েছে, বিস্ফোরিত পদার্থ ছিল সোডিয়াম পারক্লোরেট, যা কঠিন জ্বালানিচালিত ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির একটি মূল উপাদান। তবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রেজা তালাই-নিক রাষ্ট্রীয় টিভিতে বলেছেন, এ এলাকায় সামরিক জ্বালানি বা সামরিক উদ্দেশ্যে আমদানি কিংবা রপ্তানির কোনো কার্গো ছিল না।
বন্দরের কাস্টমস অফিস রাষ্ট্রীয় টিভিতে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বিস্ফোরণ সম্ভবত বিপজ্জনক ও রাসায়নিক পদার্থ সংরক্ষণাগারে আগুন লাগার পর ঘটেছে। কয়েকটি কনটেইনার বিস্ফোরিত হয়েছে বলে একজন আঞ্চলিক জরুরি কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
আরআর/এসএন