পাকিস্তান যুদ্ধ শুরু করবে না, ভারত করলে কঠোর জবাব দেওয়া হবে


ভারতের সঙ্গে পাকিস্তান নিজে কোনো উত্তেজনা বাড়াবে না। তবে ভারত যদি উত্তেজনা বৃদ্ধি এবং প্ররোচিত করে তাহলে কঠোর জবাব দেওয়া হবে। বুধবার (৩০ এপ্রিল) এক সংবাদ সম্মেলনে এমন হুঁশিয়ারি দেন পাক উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইশহাক দার।

এদিন পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের মহাপরিচালক লেফটেনেন্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শাফকাত আলী খানের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে আসেন তিনি।

গত ২২ এপ্রিল ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামে বন্দুকধারীর হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এরসঙ্গে পাকিস্তান পরোক্ষভাবে জড়িত এমন অভিযোগ তুলে দেশটির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক অবনমন করে ভারত।

পেহেলগাম হামলার পর এ নিয়ে ভারত রাজনীতি করছে উল্লেখ করে পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “পেহেলগাম নিয়ে ভারত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ যে পরিবেশ তৈরি করেছে সেটির জন্য এই পুরো অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে পড়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “বিশ্ব নেতারা সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানাচ্ছেন। সরকার এবং জাতির পক্ষ থেকে আমি স্পষ্ট করেছি, পাকিস্তান প্রথমে কোনো ধরনের উত্তেজনা বৃদ্ধির ব্যবস্থা নেবে না, যুদ্ধ শুরু করবে না। কিন্তু যদি ভারতীয় পক্ষ থেকে এমন কিছু হয়। আমরা অত্যন্ত শক্তির সাথে জবাব দেব।”

পাক মন্ত্রী জানান, তারা সন্ত্রাসবাদের সবচেয়ে বড় শিকার। তারা কোনোভাবেই বেসামরিকদের হত্যাকে সমর্থন করেন না। তা যে কারণেই হোক। তিনি উল্লেখ করেন, পবিত্র কোরআনে বলা আছে, কেউ একজন নিরপরাধ ব্যক্তিকে হত্যা করলে সে জন্য পুরো মানবজাতিকে হত্যা করল। আর কেউ যদি একজনকে বাঁচায়, সে যেন পুরো মানবজাতিকে রক্ষা করল। পাকিস্তান এ নীতি মেনে চলে— বলেন তিনি।

উল্টো পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদকে মদদ এবং গুপ্ত হত্যা সংঘটিত করে সেগুলো নিয়ে ভারত উল্লাস করে বলে অভিযোগ করেন ইশহাক দার। তিনি বলেন, “আমরা পেহেলগাম হামলার পর এর নিন্দা জানিয়েছি। পেহেলগামে যে প্রাণগুলো গেছে তাদের নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। সন্ত্রাসবাদের শিকার হওয়া দেশ হিসেবে, পাকিস্তানের মতো অন্য কেউ এগুলোর কষ্ট বুঝবে না।”

ইশহাক দারের অভিযোগ, ভারত নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে ও কাশ্মিরিদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে পেহেলগামের দায় পাকিস্তানের ওপর চাপাতে চাচ্ছে। যেমনটা ২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলার পর তারা করেছিল।

সূত্র: দ্য ডন

এসএন 

Share this news on: