মাগুরার সেই শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিলেন তিন চিকিৎসক

মাগুরার আলোচিত শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে তিনজন চিকিৎসকের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে শিশুটির চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা মেডিকেল এক্সপার্ট তিনজন চিকিৎসকের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। এ নিয়ে চার দিনে ১৯ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। আসামিরা এ সময় আদালতে হাজির ছিলেন। পর্যায়ক্রমে মামলার বাদীসহ ৩৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হবে বলে জানা যায়।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের পিপি মনিরুল ইসলাম মুকুল বলেন, চতুর্থ দিনে মেডিকেল এক্সপার্ট তিনজন চিকিৎসকের সাক্ষ্য নেওয়ার জন্য হাজির করা হয়েছিল। তারা তাদের সাক্ষ্য দিয়েছেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী তাদেরকে জেরা করেছেন। পরে আগামী ৪ মে বিজ্ঞ আদালত বাকি সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে সাক্ষ্যগ্রহণ করে এ মামলার একটি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে পারব।

মামলার রায় আনুমানিক কত দিনের মধ্যে হতে পারে সাংবাদিককের এমন প্রশ্নে আইনজীবী মনিরুল বলেন, আশা করছি আগামী মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে রায় সম্পন্ন হবে। রায় ঘোষণা করা হলে তখন সবাই বিস্তারিত জানতে পারবেন।

প্রসঙ্গত, মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার জারিয়া গ্রাম থেকে শহরের নিজনান্দুয়ালী এলাকায় বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় আট বছর বয়সী আছিয়া। ধর্ষণের পর তাকে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টাও করা হয়।

৬ মার্চ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ১৩ মার্চ দুপুরে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি মারা যায়।

সেদিন সন্ধ্যায় শিশুটির মরদেহ হেলিকপ্টারে করে মাগুরায় নেওয়া হয়। মাগুরা শহরের নোমানী ময়দানে প্রথম জানাজা ও পরে শ্রীপুর উপজেলার সব্দালপুর ইউনিয়নের সোনাইকুন্ডী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে দ্বিতীয় জানাজা শেষে স্থানীয় সোনাইকুন্ডী গোরস্থানে মরদেহ দাফন করা হয়।

জানাজার পর উত্তেজিত জনতা শিশুটির বোনের শ্বশুরবাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এর আগে ৮ মার্চ শিশুটির মা মাগুরা সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন। মামলায় চারজনকে আসামি করা হয়।

এসএম/টিএ

Share this news on: