ডেভিল হান্ট অভিযানে আটক আ. লীগ নেতাকে ছাড়িয়ে নিলেন বিএনপি নেতা

ডেভিল হান্ট অভিযানে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্পাদককে আটকের ৬ ঘণ্টা পর বিএনপি নেতার জিম্মায় ছেড়ে দিয়েছেন ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহম্মদ এনামুল হক।

গত মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাত ৮টার দিক উপজলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের বাদশাগঞ্জ বাজারের হানিফের চায়ের দোকানের পেছন থেকে দুলা মিয়াকে গ্রেফতার করে ধর্মপাশা থানা পুলিশ।

আটকের পর রাত ২টার দিকে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

স্থানীয় বিএনপি নেতা ও এলাকাবাসী জানায়, পুলিশের হাতে আটক ও মুক্তি পাওয়া আওয়ামী লীগ নেতার নাম দুলা মিয়া। তিনি উপজেলার সেলবরষ ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তার বড় ভাই সোনা মিয়া সেলবরষ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি।

দুলা মিয়া ২০২২ সালে তার ফেসবুক আইডিডে সেলবরষ ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লেখা সম্বদ্ধ একটি পোস্টার পোস্ট করছিলেন। এ পোস্টারের সূত্র ধরে ডেভিল হান্ট অভিযানের মাধ্যমে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পরে তাকে ছাড়ানোর জন্য তার বড় ভাই সেলবরষ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি তাহের উদ্দিন সানা মিয়া ছুটে যান থানায়। পরে ওসি এনামুল হক আওয়ামী লীগ নেতাকে তার জিম্মায় ছেড়ে দেন।

এ বিষয়ে দুলা মিয়া বলেন, ‘ওই পোস্টার আমার মেয়ের জামাই পোস্ট করছিল। আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের কমিটিতে আমার নাম প্রস্তাবনায় ছিল। কমিটি অনুমোদিত নয় এবং ওই সব কমিটির কোনো ভ্যালু নেই।’

এদিকে উপজলা বিএনপির একাধিক সিনিয়র নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, দুলা মিয়া সাবেক সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের ক্যাডার হিসেবে এলাকায় পরিচিত। বিগত সরকারের আমলে এলাকায় বিভিন্ন অন্যায় ও সাধারণ মানুষকে অত্যাচার করেছে।

কেন তাকে গ্রেফতারের পর পুলিশ তাকে ছেড়ে দিয়েছে বুঝে আসছে না আমাদের। এ বিষয়টি বিএনপির জন্য মঙ্গলজনক নয় খুবই দুঃখজনক, একই সঙ্গে পুলিশের ভূমিকা নিয় প্রশ্ন উঠেছে।

ভাইকে ছাড়িয়ে আনার বিষয়ে বিএনপি নেতা সোনা মিয়া বলেন, ‘দুলা মিয়া থানায় অসুস্থ হয়ে পড়ে, পরে আমার কাছ থেকে মুচলেকা রেখে পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়।’

ধর্মপাশা থানার ওসি মাহাম্মদ এনামুল হক বলেন, ‘দুলা মিয়ার নাম দলীয় কমিটিতে আছে, এমন কোনো কাগজ পাইনি। সে অসুস্থ থাকায় মুচলেকা নিয়ে তাকে তার বড় ভাইয়ের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।’

ধর্মপাশা সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার আলী ফরিদ আহমদ বলেন, ‘দুলা মিয়া যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের বড় নেতা বলে লোকজন জানায়। পরে যাচাই-বাছাই করে দেখা যায় কোনো কমিটিতে তার নাম নাই এবং সে হার্টের রোগী।’

এসএম/টিএ

Share this news on: