সংস্কার আমরা এই মুহূর্তে চাই না: জিএম কাদের

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, “সংস্কার আমরা এই মুহূর্তে চাই না। যারা এখন সংস্কার করতে চাচ্ছেন, তারা অবাস্তব সংস্কার প্রস্তাব দিচ্ছেন। আমরা চাই নির্বাচনের পরে, জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে বাস্তবসম্মত সংস্কার হোক। সেই সংস্কার আমরা মেনে চলব, ইনশাআল্লাহ।”

বৃহস্পতিবার (১ মে) মে দিবস উপলক্ষে কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয় চত্বরে জাতীয় শ্রমিক পার্টি আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

জি.এম. কাদের বলেন, “এই মুহূর্তে অবাস্তব সংস্কার আমরা চাই না। নির্বাচিত সরকার ছাড়া কেউ সংস্কার করতে পারবে না। আপনারা নির্বাচন করতে চাইছেন, অথচ দেশের অর্ধেক জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলোকে ভোটাধিকার দিতে চাইছেন না। যেহেতু আপনারা অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে পারছেন না, দয়া করে বিদায় নিন।”

তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ করে বলেন, “আল জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে উনি বলেছেন, দেশের মানুষ তাকে চায়। কিন্তু আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই—আমরা তার উপর আস্থা রাখতে পারি না। তাকে আমরা চাই না। তিনি সংস্কারের কথা বলছেন, কথাগুলো সুন্দর শুনতে লাগলেও বাস্তবায়ন সম্পূর্ণ অবাস্তব এবং সম্পূর্ণভাবে ভিন্ন। সেখানে দেশের মানুষকে বিভাজন করে এক পক্ষকে আরেক পক্ষের উপর লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “আপনারা কাউকে নির্বাচন থেকে বাদ দিতে পারবেন না। সকল পক্ষকে নিয়েই নির্বাচন করতে হবে। সেই সাহস থাকলে আসুন নির্বাচনের মাঠে। বিচার করা সবসময় সম্ভব—এর কোনো সময়সীমা নেই। সংস্কারও করা যায়, প্রতিদিন করা যায়। আজ এক রকম সংস্কার করলাম, সাত দিন পরে মনে হলো পরিবর্তন করতে হবে—তা করতেই পারি। সবকিছু একবারে করে ফেলার মতো বিষয় নয় এটি। কাজেই অবাস্তব চিন্তা বাদ দিয়ে দেশের জনগণের মুক্তির জন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।”

আলোচনার শেষ দিকে জি.এম. কাদের পুনর্ব্যক্ত করেন, “আমরা চাই বর্তমান সরকার প্রধান ও তার নিয়োগদাতা অভিভাবকগণসহ সবাই সরকার ছেড়ে রাজনীতির ময়দানে আসুন। যদি জনগণ তাদের গ্রহণ করে, তাহলে আমরাও রাজি আছি সহযোগিতা করতে। কিন্তু সংস্কার আমরা চাই নির্বাচনের পরে, নির্বাচিত মানুষের হাত দিয়ে।”

আরআর/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
অজানা কারণে ক্রিকেটাররা চাপে আছে : আকরাম খান Jul 10, 2025
img
জানুন ই-পাসপোর্ট এর বিস্তারিত প্রক্রিয়া ও প্রয়োজনীয়তা Jul 10, 2025
img
সন্ধ্যার মধ্যে ঢাকাসহ দেশের ১৫ অঞ্চলে ঝড়ের পূর্বাভাস Jul 10, 2025
img
সাবেক রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিমের জমিসহ দুই বাড়ি জব্দের নির্দেশ Jul 10, 2025
img
বড় তারকা নেই, তবু আলোচনায় ‘সাইয়ারা’ Jul 10, 2025
img
শাপলা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের ব্যাখ্যা গ্রহণযোগ্য নয়: নাহিদ Jul 10, 2025
img
বুমরাহ-র প্রশংসায় পঞ্চমুখ শাহিন আফ্রিদি Jul 10, 2025
img
মহেশ বাবুর 'এসএসএমবি ২৯' সিনেমাতে বড় চমক! Jul 10, 2025
img
বড় তারকারা ব্যর্থ, অথচ 'ছাভা' বাজিমাত! ওয়ার ২ কি পারবে ১ কোটির টিকিট বিক্রি পেরোতে? Jul 10, 2025
img
মৌলভীবাজারে সেপটিক ট্যাংকে পড়ে প্রাণ গেল ৪ জনের Jul 10, 2025
img
ঈদুল ফিতরে মুক্তি পাচ্ছে নিশো-চঞ্চল-এর ‘দম’ Jul 10, 2025
img
জেনে নিন দেশের বাজারে আজকের স্বর্ণ ও রুপার দাম Jul 10, 2025
img
জুলাই সনদ কোনো কবিতা না, আমাদের বাঁচার সনদ : হাসনাত আব্দুল্লাহ Jul 10, 2025
img
মেসির জোড়া গোলে টানা দ্বিতীয় ম্যাচ জিতল মায়ামি Jul 10, 2025
img
জাতিসংঘের বিশেষ দূতের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা Jul 10, 2025
img
বাংলাদেশে বিনিয়োগে অনেক চ্যালেঞ্জ : চীনা রাষ্ট্রদূত Jul 10, 2025
img
ব্রাজিলের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি ট্রাম্পের Jul 10, 2025
img
১০ জন ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দিতে রাজি হামাস Jul 10, 2025
img
তারেক রহমান এখন আরো পরিপক্ব ও যোগ্য নেতা: মান্না Jul 10, 2025
img
স্ত্রীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার, চিকিৎসকের ওপর ক্ষেপে গেলেন কাঞ্চন Jul 10, 2025