ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত এবং কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছে।
রবিবার (৪ এপ্রিল) ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের মকরমপট্টি গ্রামে রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত এ সংঘর্ষ চলে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের মকরমপট্টি গ্রামে দবির মাতুব্বর (৬০) ও বজলু মুন্সির (৬২) দুটি দল রয়েছে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে রবিবার সন্ধ্যায় দুই পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পরস্পরের বিরুদ্ধে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
সংঘর্ষে ৩০ জনের অধিক আহত হয়।
এদের মধ্যে বজলু মুন্সির দলের কুদ্দুস মোল্লাকে (৫৫) গুরুতর আহত অবস্থায় ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তিনি ওই গ্রামের হাজী হামেদ মোল্লার ছেলে। তার তিনজন ছেলে রয়েছে।
বড় দুজন প্রবাসী। ছোট ছেলে মিঠুন মোল্লা বাড়ির জমি দেখাশোনা করেন। মিঠুন মোল্লা জানান, আমার বাবাকে গলায় কোপ দিয়ে মেরে ফেলেছে।
নিহত কুদ্দুস মোল্লার ভাই ফেরদৌস মোল্লা (৫০) বলেন, আমাদের ওপর হামলা করে ওরা আমার ভাইকে মেরে ফেলেছে।
আমাদের দুই দলের দ্বন্দ্ব ১০ বছর ধরে চলে আসছে।
সংঘর্ষের ঘটনায় ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আহতরা যারা ভর্তি হয়েছেন তারা হলেন- ফেরদৌস মোল্লা (৫০), আমির বেপারী (৫৪), রেজ্জাক শেখ (৫০), মোহাম্মদ স্বাধীন মুন্সি (১৮), সাজ্জাদ শেখ (১৯), দ্বীন ইসলাম (৪১), রিজু মিয়া (২৫), সোহাগ মোল্লা (২৫), বায়েজিদ মিয়া (২৩), হাসান মোল্লা (৪০), ইলিয়াস মুন্সী (৫৫), নুর ইসলাম (৩২), জহুরুল শেখ (৪৫)।
ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা তানসিভ জুবায়ের বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় একজন নিহত হয়েছে। আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ভাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক মো. মোশারফ হোসেন জানান, ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের মকরমপট্টি গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছে।
এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
আরএম/এসএন