অধ্যক্ষকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দিল এনসিপি

বগুড়া হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডা. এসএম মিল্লাত হোসেনকে (৫০) মারধরের পর পুলিশে দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীরা।

সোমবার ( ৫ মে ) রাত ৮টার দিকে শহরের ইয়াকুবিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মার্কেটে নিজ চেম্বার থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে তাকে লাঠি দিয়ে মারধর করতে করতে ডিবি পুলিশ কার্যালয়ে নেওয়া হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শহরের নাটাইপাড়ার বাসিন্দা ডা. এসএম মিল্লাত হোসেন বঙ্গবন্ধু পরিষদ বগুড়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ জেলা শাখার সভাপতি। তিনি সোমবার বিকাল থেকে চেম্বারে রোগী দেখছিলেন।

রাত ৮টার দিকে এনসিপি শ্রমিক উইংয়ের কেন্দ্রীয় সংগঠক ডা. আবদুল্লাহ আল সানীর নেতৃত্বে ১৫-২০ জন নেতাকর্মী তার চেম্বারে যান। এরপর তাকে ধরে বাইরে নিয়ে আসেন। তাকে প্রকাশ্যে টেনেহিঁচড়ে মারধর করতে করতে ডিবি পুলিশ কার্যালয়ে সোপর্দ করা হয়। পানি খেতে চাইলে বোতল মুখে ধরার পর মাথায় ঢেলে দেওয়া হয়। এ সময় নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগ বিরোধী নানা স্লোগান দেন।

ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে আবদুল্লাহ আল সানীকে বলতে শোনা যায়, ‘অ্যাক (এসএম মিল্লাত) ছয় মাস আগে আলটেমেটাম দিয়েছিলাম, আমাকে দুর্বল মনে করেছে। আমি স্পষ্ট কথা বলে দিতে চাই। বেশি কথার মানুষ আমি না, এক কথার মানুষ। একবার বলেছি মানে ওইটা ওয়ার্নিং হয়ে গেছে। সময়মতো ধরে ফেলে দিয়েছি। তুই আমার ভাইগরক ২০-২৫ বছর ধরে মারচু। দীলিপ রায়ের (স্বাধীনতা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পরিষদের সভাপতি) কোনো সিন্ডিকেট রাখব না, আমরা আসতেছি। হাসনাতের ওপর হামলা হয়েছে।’

ডা. আবদুল্লাহ আল সানী বলেন, গত ১৫ বছর এসএম মিল্লাত ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছেন। নিয়োগ-বাণিজ্য করেছেন। টাকা নিয়েও চাকরি না দেওয়ায় অনেক ভুক্তভোগী ২০২২ সালে আমার কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। কিন্তু তখন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকায় ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি।

বগুড়া ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার বলেন, এমএস মিল্লাতকে পরে সদর পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।

বগুড়া সদর থানার ওসি এমএম মঈনুদ্দিন বলেন, এসএম মিল্লাতের বিরুদ্ধে থানায় কোনো ধরনের মামলা নেই।

আরএম/এসএন


Share this news on:

সর্বশেষ

img
বিমানবন্দর থেকে গুলশান: স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত রাজপথ May 06, 2025
img
বেইলি রোডে ফায়ার ফাইটারদের সাহসিকতায় প্রাণে বাঁচলেন ১৮ জন May 06, 2025
img
রাষ্ট্র গঠনে তরুণদের জায়গা করে দিতে হবে: সেলিমা রহমান May 06, 2025
img
দেশে ফিরলেন খালেদা জিয়া May 06, 2025
img
পাক-বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফ বাড়াচ্ছে ভারত May 06, 2025
img
আ’লীগের ন্যারেটিভ এখনো আমরা অপরাধ করিনি, আ’লীগের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা জুলাই আন্দোলনকারীরা সিদ্ধান্ত নেবেন: প্রেস সচিব May 06, 2025
img
নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে শাহবাজ শরিফের ফোনালাপ May 06, 2025
img
যারা ফ্যাসিস্টকে ফেরাতে চান তাদের তালিকা শিবিরের কাছে রয়েছে: জাহিদুল ইসলাম May 06, 2025
img
নেতানিয়াহুর টার্গেটে তিন দেশ May 06, 2025
img
পুলিৎজার পুরস্কার পেল রয়টার্স, ওয়াশিংটন পোস্ট ও নিউইয়র্ক টাইমস May 06, 2025