আরও ৪ মামলায় চিন্ময় দাসকে গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দিল আদালত

আরও চারটি মামলায় রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় কারাগারে থাকা ইসকনের সাবেক সংগঠক চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ নিয়ে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাসহ মোট পাঁচ মামলায় বর্তমানে কারাবন্দি চিন্ময়কে গ্রেফতার দেখানো হলো।

মঙ্গলবার (৬ মে) সকালে চট্টগ্রামের ষষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দিনের আদালতে চারটি মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানোর জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের ওপর শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালত আবেদনগুলো মঞ্জুর করেন।

চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী সারাবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, শুনানির সময় কারাগার থেকে আসামি চিন্ময় দাসকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত করা হয়।

গত রোববার (৪ মে) আইনজীবী আলিফ হত্যাসহ নগরীর কোতোয়ালী থানার চারটি মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেফতার দেখানোর জন্য আদালতে আবেদন করে পুলিশ। পরদিন আরও একটি মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করা হয়।

সোমবার (৫ মে) আদালত আইনজীবী হত্যা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দেন।

এরপর মঙ্গলবার পুলিশের ওপর আক্রমণ, কর্তব্যকাজে বাধা, আদালত প্রাঙ্গনে ত্রাস সৃষ্টি, হামলার অভিযোগের বাকি চারটি মামলার শুনানি শেষে এ আদেশ এসেছে। এর মধ্যে একটি মামলার বাদী নিহত আলিফের ভাই।

চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানায় দায়ের হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গত বছরের ২৫ নভেম্বর রাতে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইসকনের বহিষ্কৃত সংগঠক ও সনাতনী জাগরণ জোট নামে একটি সংগঠনের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করে ডিএমপির গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। পরদিন ২৬ নভেম্বর তাকে চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

কারাগারে পাঠানোর নির্দেশকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গনে ত্রাস সৃষ্টি করে চিন্ময়ের অনুসারীরা। প্রায় তিনঘন্টা তাকে বহনকারী প্রিজন ভ্যান আদালত এলাকায় আটকে রাখে তারা। একপর্যায়ে পুলিশ, বিজিবি লাঠিপেটা ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তখনই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরবর্তীতে নগরীর লালদিঘীর পাড় থেকে কোতোয়ালী এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।

সংঘর্ষের সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করা হয়। এ ঘটনায় তার বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন।

এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধা এবং আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও পাঁচটি মামলা হয়।

এরমধ্যে গত ৩০ এপ্রিল রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পান চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী। তবে রাষ্ট্রপক্ষ চেম্বার জজ আদালতে জামিনের বিরুদ্ধে আপীল করেছে।

এসএম/এসএন

Share this news on: