তামাকের কর ও মূল্য বৃদ্ধির দাবি তরুণদের

তামাকপণ্যের সহজলভ্যতা তরুণ প্রজন্ম ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য মারাত্মক হুমকি – এমন মন্তব্য করে আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে তামাক পণ্যের কার্যকর কর ও মূল্য বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে তামাকবিরোধী তরুণ ফোরাম।

মঙ্গলবার (৬ মার্চ) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়। ‘জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাক পণ্যে কার্যকর কর ও মূল্য বৃদ্ধির দাবি’ শীর্ষক মানববন্ধনে সংগঠনটির সদস্য ছাড়াও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

ফোরামের সদস্যরা দাবি জানিয়ে বলেন, চার স্তরের (নিম্ন, মধ্যম, উচ্চ ও প্রিমিয়াম) সিগারেট কাঠামো কার্যকরভাবে কাজ করছে না। বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্যম স্তরের সিগারেটের দামের পার্থক্য খুব সামান্য হওয়ায় ভোক্তারা সহজেই এক স্তর থেকে অন্য স্তরে যেতে পারছে।

এ বিষয়ে নারী মৈত্রীর প্রোজেক্ট কো-অর্ডিনেটর নাসরিন আক্তার বলেন, নিম্ন ও মধ্যম স্তরের সিগারেট একত্রিত করে দাম বাড়ানো হলে দরিদ্র ও তরুণ জনগোষ্ঠী ধূমপান থেকে বিরত থাকবে।
মানববন্ধনে তামাকবিরোধী তরুণ ফোরামের আহ্বায়ক আশরাফিয়া জান্নাত বলেন, আমাদের প্রস্তাব বাস্তবায়ন হলে ৯ লাখ তরুণসহ প্রায় ১৭ লাখ মানুষের অকালমৃত্যু প্রতিরোধ সম্ভব হবে। সেইসঙ্গে সরকার পাবে ২০ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব।

তিনি বলেন, আসন্ন বাজেটে ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরা মূল্য নিম্ন ও মধ্যম স্তরে ৯০ টাকা নির্ধারণ, উচ্চ স্তরে ১৪০ টাকা অপরিবর্তিত রাখা এবং প্রিমিয়াম স্তরে ১৯০ টাকা করার প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে খুচরা মূল্যের ওপর ৬৭ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক, ১৫ শতাংশ ভ্যাট এবং ১ শতাংশ স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ বহাল রাখতে হবে।

মানববন্ধনে বিড়ি ও অন্যান্য তামাকপণ্যের মূল্য বৃদ্ধিরও সুপারিশ করা হয়। ফিল্টারবিহীন ২৫ শলাকা বিড়ির খুচরা মূল্য ২৫ টাকা এবং ফিল্টারযুক্ত ২০ শলাকা বিড়ির মূল্য ২০ টাকা নির্ধারণ করে ৪৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের দাবি তোলা হয়। জর্দা ও গুলের ক্ষেত্রেও যথাক্রমে ১০ গ্রামে ৫৫ ও ৩০ টাকা খুচরা মূল্য নির্ধারণ করে ৬০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের দাবি জানায় ফোরাম।

এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

img

নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ

ভারতকে কাঁদিয়ে সেমিফাইনালে ইংল্যান্ড Oct 20, 2025
img
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের জন্য দল ঘোষণা করল নিউজিল্যান্ড Oct 20, 2025
img
মালয়েশিয়ায় ৮২ প্রবাসীর আত্মসমর্পণ, ১৯ জন বাংলাদেশি Oct 20, 2025
img
আজকের আবহাওয়া: ঢাকার আকাশ মেঘলা থাকতে পারে Oct 20, 2025
img
স্বর্ণ কিনবেন? জেনে নিন দেশে কত দামে বিক্রি হচ্ছে আজ Oct 20, 2025
img
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আর ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান হতে দেওয়া হবে না : সেলিমুজ্জামান Oct 20, 2025
img

ফিফা অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ

আর্জেন্টিনাকে কাঁদিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন মরক্কো Oct 20, 2025
img
গাজায় ত্রাণ-সামগ্রী প্রবেশ স্থগিত করল নেতানিয়াহুর দেশ Oct 20, 2025
img
সুরাজ বরজাত্যর নতুন পারিবারিক ছবির শুটিং শুরু নভেম্বর থেকে Oct 20, 2025
img
এমবাপ্পের গোলে ফের শীর্ষে রিয়াল Oct 20, 2025
img
নওগাঁয় সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল এক বৃদ্ধ Oct 20, 2025
img
ফাঁস হওয়া ছবিতে আলিয়া ভাটের লুক নিয়ে তুমুল আলোচনা Oct 20, 2025
img
বিয়ের পর বিরতি ভেঙে কীর্তি সুরেশের শক্তিশালী প্রত্যাবর্তন Oct 20, 2025
img
জুলাই সনদ হঠাৎ করে হয়নি, একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া ছিল : মঞ্জু Oct 20, 2025
img
৯ বছর পর অ্যানফিল্ডে লিভারপুলকে হারাল ম্যানইউ Oct 20, 2025
শাপলা প্রতীক না দিলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: সরোয়ার তুষার Oct 20, 2025
সত্যিই কি ডিভোর্স হয়েছে মাহিয়া মাহি? কী জানালেন Oct 20, 2025
নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষ নির্বাচন করার কোনো যোগ্যতা নেই : হাসনাত আব্দুল্লাহ Oct 20, 2025
img
কাঞ্চন আমার মূল্যবান গয়না! ‘সেফটি ডিপোজ়িট’, মানুষটাও সোনা: শ্রীময়ী Oct 20, 2025
img
বৃদ্ধ বয়সে কোনো হারাম কর্ম যেন আমাকে স্পর্শ না করে : রনি Oct 20, 2025