রাজধানীর রমনা থানায় দায়ের করা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট এবং তার সহযোগী এনামুল হক আরমানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।
বুধবার (৭ মে) ঢাকার ৭ম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ সাইফুর রহমান মজুমদারের আদালতে মামলার বাদী র্যাব-১ এর তৎকালীন ডিএডি আব্দুল খালেক সাক্ষ্য দেন। তার সাক্ষ্য শেষে আগামী ১৫ জুন সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মাহফুজ হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, মামলাটিতে আজ সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ছিল। এদিন মামলার বাদী আব্দুল খালেক সাক্ষ্য দেন। তার সাক্ষ্য শেষে আগামী ১৫ জুন সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আদালত।
এর আগে গত ৩০ জানুয়ারি একই আদালত আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে তাদের বিচার শুরুর আদেশ দেন। একইসঙ্গে তাদের জামিন বাতিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। সম্রাট এবং আরমান অসুস্থ রয়েছেন জানিয়ে ওইদিন তাদের আইনজীবীরা সময় আবেদন করেছিলেন।
জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে গ্রেফতার করে র্যাব। পরে তাকে নিয়ে দুপুর দেড়টার দিকে তার কাকরাইলের কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ভেতর থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, পিস্তল ও বিরল প্রজাতির বন্যপ্রাণীর চামড়া উদ্ধার করা হয়।
বন্যপ্রাণীর চামড়া রাখার দায়ে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমান আদালত। ওই দিনই রাত পৌনে ৯টার দিকে সম্রাটকে কারাগারে নেওয়া হয়। ৭ অক্টোবর বিকেলে র্যাব-১ এর ডিএডি আব্দুল খালেক বাদী হয়ে রমনা থানায় অস্ত্র ও মাদক মামলা করেন। ২০২০ সালের ৬ নভেম্বর অস্ত্র আইনের মামলায় সম্রাটের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১ এর উপ-পরিদর্শক শেখর চন্দ্র মল্লিক। ওই বছরের ৯ ডিসেম্বর মাদক মামলায় সম্রাট এবং আরমানের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১ এর উপ-পরিদর্শক আ. হালিম।
এসএম/টিএ