চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে একটি শিশুকে বাঁচাতে গিয়ে সিএনজি চালিত দুই স্কুটারের মুখোমুখি সংঘর্ষে এনাম হোসেন (২২) নামের এক যুবক নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় দুই স্কুটারের চালকসহ ৬ জন আহত হয়েছে। এদের সবাইকে চাঁদপুর সদর হাসপাতাল থেকে ঢাকাতে রেফার্ড করা হয়েছে।
বুধবার (৭ মে) দুপুরে চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের হাজীগঞ্জের সীমান্ত দেবপুর মাদরাসার পাশে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত এনাম হোসেন (২০) হাজীগঞ্জের ৭ নম্বর বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়নের নাটেহরা গ্রামের মুন্সী বাড়ির খোরশেদ আলমের ছেলে। আহতরা হলেন হেঞ্জু মিয়া (৬২), আয়েশা (৬), সিহাব (১৭), পারভেজ (২৩) ও সীমা (২৩)।
প্রত্যক্ষদর্শী শরীফ হোসেনসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, দ্রুত গতিতে দুটি সিএনজি চালিত স্কুটার যাওয়ার সময় আয়শা (৬) নামের এক শিশু রাস্তা পারাপারের জন্য দৌড় দেয়। এ সময় চাঁদপুর থেকে হাজীগঞ্জমুখী সিএনজিটি ব্রেক কষলে তা সড়কের বিপরীত পাশ দিয়ে চাঁদপুরমুখী অপর একটি স্কুটারকে সজোরে ধাক্কা মারে।
এ সময় একটি স্কুটার সড়কে পাশের মেহগনি গাছে ধাক্কা খায় অপর স্কুটারটি সড়কেই উল্টিয়ে যায়। এতে এনামের দেহের উপরি অংশ ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। তাৎক্ষণিক আহত সবাইকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
শরীফ হোসেন আরো জানান, আহত ৬ জনের মধ্যে ৪ জনের অবস্থা বেগতিক।
ঘটনার পর নিহতের পকেটে থাকা তার ভোটার আইডি দেখে জানতে পেরেছি তার নাম এনাম।
বাকিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জানান, এ ঘটনায় একজন নিহত হয়েছে। এছাড়া ৬ জন আহত হয়েছে বলে জেনেছি। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আয়েশা নামের একটি শিশুকে বাঁচাতে গিয়ে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানতে পেরেছি।
নিহত এনামের বোন শাহীনুর ঘটনাস্থলে এসে নিহত ভাইয়ের মরদেহ শনাক্ত করে বলেন, আমার ভাই ঢাকায় বোনের বাসায় বেড়াতে গিয়েছিল। সেখান থেকে লঞ্চযোগে বাড়িতে ফেরার পথে সে মারা গেছে খবর পেয়ে এখানে এসেছি।
নিহতের বাবা খোরশেদ আলম জানান, এনাম আমার ছোট ছেলে। ঢাকা থেকে সকালে রওনা দিয়ে বাড়ির কাছে এসে ছেলেটি চলে গেল।
হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে একজন অফিসারসহ ফোর্স পাঠিয়েছিলাম। ঘটনাস্থলে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশকে মরদেহ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আরএম/এসএন