রমনা বটমূলে বোমা হামলা: হাই কোর্টে মামলার রায় পড়া শুরু

২০০১ সালে ঢাকার রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলা চালিয়ে ১০ জনকে হত্যার ঘটনায় রায় ঘোষণা করছে আদালত। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় পড়া শুরু করে।

জজ আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের অনুমোদন ( ডেথ রেফারেন্স) এবং আসামিদের আপিলের ওপর শুনানি শেষে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রেখেছিল। বিষয়টি আদেশের জন্য ৩০ এপ্রিল আদালতের কার্যতালিকায় উঠলে বিচারক রায় ঘোষণার জন্য বৃহস্পতিবার দিন ঠিক করেন।

২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলা চালানো হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ৯ জনের মৃত্যু হয়। পরে হাসপাতালে মারা যান একজন। এ ঘটনায় নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির সার্জেন্ট অমল চন্দ্র চন্দ ওই দিনই রমনা থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা করেন।

২০০৮ সালের ৩০ নভেম্বর দুই মামলায় ১৪ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ২০১৪ সালের ২৩ জুন বিচারিক আদালত হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। এরপর ডেথ রেফারেন্স এবং আসামিদের জেল আপিল ও ফৌজদারি আপিলের শুনানির জন্য মামলাটি হাইকোর্টে আসে।

হত্যা মামলার রায় ঘোষণা হলেও বিস্ফোরক মামলাটি ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন।

এ মামলায় বিচারিক আদালত নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের (হুজি) শীর্ষ নেতা মুফতি আবদুল হান্নানসহ আটজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ এবং ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন— মুফতি আব্দুল হান্নান, মাওলানা আকবর হোসেন, আরিফ হাসান সুমন, মাওলানা তাজউদ্দিন, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, মাওলানা আবু বকর ওরফে মাওলানা হাফেজ সেলিম হাওলাদার, মাওলানা আবদুল হাই ও মাওলানা শফিকুর রহমান।

এর মধ্যে সিলেটে গ্রেনেড হামলার মামলায় মুফতি হান্নানের মৃত্যুদণ্ড ইতিমধ্যে কার্যকর করা হয়েছে। ২০১৪ সালের বিচারিক আদালতের রায় ঘোষণার পর মামলাটি ডেথ রেফারেন্স হিসেবে হাইকোর্টে আসে। একই সঙ্গে জেল আপিল হয়।

পরে পেপারবুক প্রস্তুত করে মামলাটি কার্যতালিকায় ওঠে।

এসএম/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
চলে গেলেন থাইল্যান্ডের সাবেক রানি সিরিকিত Oct 25, 2025
img
কী খেতে বেশি ভালোবাসেন নচিকেতা ? Oct 25, 2025
img
ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই যাত্রী নিহত Oct 25, 2025
img
নির্বাচিত সরকারই দেশবিরোধী সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিতে পারে : সালাউদ্দিন টুকু Oct 25, 2025
img

যুক্তরাষ্ট্রের মনোনীত রাষ্ট্রদূত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন

বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় পাশে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র Oct 25, 2025
img
লিবিয়ায় অনিয়মিতভাবে অবস্থান করা ৩০৯ জন বাংলাদেশি দেশে ফিরল Oct 25, 2025
img
বাংলাদেশ আমাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও নির্ভরযোগ্য উন্নয়ন সহযোগী : মালদ্বীপের মন্ত্রী Oct 25, 2025
img
দু-একটি দল ফ্যাসিস্ট আ.লীগের সঙ্গে আঁতাত করছে: মির্জা আব্বাস Oct 25, 2025
img
মানুষ কাকে ভালোবাসবে, তার কোনো সিলেবাস হয় না: রুদ্রনীল ঘোষ Oct 25, 2025
img
ইসরায়েলকে চাপ দিতে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশকে এরদোয়ানের আহ্বান Oct 25, 2025
img
বাংলাদেশি টাকার আজকের মুদ্রা বিনিময় হার Oct 25, 2025
img
২২ দিনের ইলিশ ধরা নিষেধাজ্ঞা শেষ, ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার আশা জেলেদের Oct 25, 2025
img
অশালীন কনটেন্ট নয়, পারিবারিক বিনোদনই পছন্দ রাজপালের Oct 25, 2025
img
মোবাইল নির্ভর সম্পর্ক এখন অস্থির ও অগভীর : আদিত্য রায় কাপুর Oct 25, 2025
img
সাফল্যের নেশায় নয়, মাটির কাছাকাছি থাকতে চান অনুপম রায় Oct 25, 2025
img
সৌদি সফরে যাচ্ছেন না প্রধান উপদেষ্টা, যাবে প্রতিনিধি দল Oct 25, 2025
img
মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ২৭ Oct 25, 2025
img
অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের শেষ ওয়ানডে ম্যাচ আজ Oct 25, 2025
img
বিশ্ববাজারে আবারও বাড়ছে স্বর্ণের দাম Oct 25, 2025
img
ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবিতে জাবিতে বিক্ষোভ মিছিল Oct 25, 2025