সচিবালয়ে কালাকানুন ও অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রণয়নের প্রতিবাদ

সরকারি চাকরি আইনের সংশোধনে ১৯৭৯ সালের বিশেষ বিধান পুনরায় অন্তর্ভুক্ত করা এবং নন-ক্যাডার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রণয়নের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেছে সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সচিবালয়ের চার নম্বর ভবনের পেছনের ক্যান্টিনে সব মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একত্র হয়ে এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে একটি সভার আয়োজন করেন।

সভায় সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি বাদিউল বাদিউল কবির, মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম, মহাসচিব নিজামউদ্দিন, মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সচিবালয় ও অপারেটিভ এর মনিরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমানসহ কর্মচারী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সংগঠন সচিবালয়ের সব সংগঠনের সভাপতি ও মহাসচিবরা সভায় উপস্থিত ছিলেন। নিপীড়নমূলক আইন ও অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রণয়নের বিরুদ্ধে তারা একটি ফ্ল্যাটফর্মে এসে একত্রিত হয়েছেন।

সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে এখন থেকে কর্মচারীদের দাবী দাওয়া আদায়ের সব সংগঠন এক হয়ে কাজ করবে। এখন থেকে দাবি আদায়ের ক্ষেত্রে পৃথক কোন সংগঠন থাকবে না।

আগামী রোববারের মধ্যে সরকারি চাকরি আইনের সংশোধন করে বিশেষ বিধান সংযোজন এবং সচিবালয়ের ভেতরে এবং মাঠ পড়াশোনা কর্মরত নন ক্যাডার কর্মচারীদের জন্য অভিন্ন নীতিমালা থেকে সরে না আসলে তারা কঠোর কর্মসূচি দিবে। যতক্ষণ না দাবি মানা হবে ততক্ষণ তার আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। এছাড়া তারা সচিবালয় কর্মরত কর্মচারীদের চার দফা দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান। বিশেষ করে মহার্ঘ ভাতা এবং নতুন পে কমিশন ঘোষণার দাবি জানান।

যদি তাদের দাবি মানা না হয় আগামী সোমবার থেকে তারা লাগাতার কঠোরসূচি ঘোষণা করবেন বলে জানিয়েছেন।

সরকারি চাকরির সংশোধন করে বিশেষ বিধান সংশোধনের বিষয়ে কর্মচারী নেতারা বলেন সরকার আমাদের ৭ দিনের মধ্যে চাকরি দিতে পারেনি তাই সাত দিনে চাকরি খাওয়ার কোন অধিকার নেই। একইভাবে তারা সচিবালয় এবং সচিবালয়ের বাহিরে কর্মরত মাঠ পড়াশোনার কর্মচারীদের জন্য অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রণয়নের সমালোচনা করে কর্মচারী নেতারা বলেন, কোনভাবেই এ ধরনের অবাস্তব নিয়োগবিধি মেনে নেওয়া হবে না।

সভা চলা অবস্থায় সরকারের তরফ থেকে ঘোষণা আসে সরকার নিপীড়নমূলক কালো আইন করবে না। এতে কর্মচারীরা আনন্দ প্রকাশ করে বলেন সরকারের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে ঘোষণা দিতে হবে।

নেতারা বলেন, আইন করে আমাদের কণ্ঠরোধ করতে চায়। এটা স্বৈরাচারের দোসর আমলাদের কূটচাল। সরকারের উচিত হবে ফ্যাসিবাদোর দোসর আমলাদের ফাঁদে পা না দেওয়া। কর্মচারী নেতারা বলেন, অবশ্যই দোসর আমলাদের দ্রুত অপসারণ করতে হবে।

আরএ/টিএ

Share this news on: