সড়কেই পরিবারের শেষ পরিণতি

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে দাঁড়িয়ে থাকা অ্যাম্বুলেন্সে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় নিহত চারজনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আনা হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজন একই পরিবারের। এ ঘটনায় নারী ও শিশুসহ আরও তিনজন আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে মুমূর্ষ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করা হয়।

নিহতরা হলেন— সামাদ ফকির (৬০), তার ছেলে হাফেজ বিল্লাল (৪০), সামাদ ফকিরের মেয়ে আফসানা (২০) ও অ্যাম্বুলেন্স চালক মাহবুব (৪০)। আহতরা হলো— শারমিন আক্তার (২৭), তার মেয়ে তাসকিয়া (৩) ও তার ভাগ্নি মারিয়াম (৭)।

নিহত সামাদ ফকিরের ভাগিনা জানান, মাদারীপুর থেকে এক গর্ভবতী নারী সন্তান প্রসবের জন্য একই পরিবারের ১০ জন অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন। পথে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান থানার নিমতলী টোল প্লাজার একটু সামনে অ্যাম্বুলেন্সের চাকা পাংচার হলে হাইওয়ে রোডে নতুন চাকা লাগানোর সময় অ্যাম্বুলেন্স থেকে নেমে কয়েকজন যাত্রী দাঁড়িয়ে ছিলেন।

এ সময় দ্রুতগামী গোল্ডেন লাইন পরিবহনের একটি বাস এসে ধাক্কা দিলে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা অ্যাম্বুলেন্সের যাত্রী চারজন গুরুতর আহত হন। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ছাড়া এক নারী আরোহী ঘটনাস্থলেই নিহত হন। তাদের সবার বাড়ি মাদারীপুরে।

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ওই চারজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মরদেহগুলো হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।

সিরাজদিখান উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের ওয়ারলেস অফিসার মো. আরিফ আনোয়ার বলেন, ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই হাইওয়ে পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে নিয়ে গেছে। অ্যাম্বুলেন্সের চাকা ব্লাস্ট হওয়ার কারণে চাকা ঠিক করছিল। এমন সময় দক্ষিণবঙ্গগামী একটি যাত্রীবাহী বাস এসে অ্যাম্বুলেন্সের যাত্রীদের ওপর উঠিয়ে দেয়।

হাসাড়া হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে একজন এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজে নেওয়ার পরে চারজনকে মৃত্যু ঘোষণা করা হয়েছে।

এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
সংবিধান ছুড়ে ফেলার কথা বললেই তা বাতিল হয়ে যায় না: রিজভী Jul 04, 2025
img
তিন সপ্তাহ পর ইরানে অবতরণ করল আন্তর্জাতিক ফ্লাইট Jul 04, 2025
img
পুতিনের সঙ্গে দীর্ঘ ফোনালাপে কোনো অগ্রগতি হয়নি : ট্রাম্প Jul 04, 2025
img
আমার নাম ভাঙিয়ে কেউ যদি চাঁদা দাবি করে, সে আমার লোক নয় : সারজিস Jul 04, 2025
এখনও কোটা বহাল! বুয়েট বন্ধ করে দিতে বললো শিক্ষার্থীরা! Jul 04, 2025
img
বৈধ উৎস নেই, তারিক সিদ্দিকের সম্পদ বাজেয়াপ্তের আহ্বান Jul 04, 2025
গোলাম মাওলা রনির প্রতি সরাসরি অভিযোগ প্রেস সচিবের Jul 04, 2025
বাংলাদেশপন্থী কারা, হাসনাত আব্দুল্লার উত্তর Jul 04, 2025
img
পিআর পদ্ধতিতে ভোটাধিকার নিশ্চিত হবে, রোধ হবে দুর্নীতি : মাসুদ সাঈদী Jul 04, 2025
img
বিএনপিতে কোনো হাইব্রিডদের জায়গা হবে না : আহমেদ আযম খান Jul 04, 2025
img
দিয়োগো জোতার সম্মানে তার ২০ নাম্বার জার্সি তুলে রাখলো লিভারপুল Jul 04, 2025
img
‘আমায় পাকিস্তানি বললেও চলবে’, পুরনো মন্তব্যে ফের বিতর্কে কারিনা Jul 04, 2025
img
বাংলাদেশ-ভারত সিরিজ স্থগিত হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বিসিবি Jul 04, 2025
img
আমাদের বিচ্ছেদ পারসোনাল ইস্যু ছিলো না, ছিল ন্যাশনাল ইভেন্ট: মিথিলা Jul 04, 2025
img
ফিরছে ‘গাল্লি বয়’, তবে এবার নতুন মুখে ও নতুন দৃষ্টিভঙ্গিতে Jul 04, 2025
img
টিকটক তারকা ক্রিস্টোফারকে গুলি করে হত্যা Jul 04, 2025
img
গাজায় ত্রাণ নিতে গিয়ে প্রাণ হারাল শতাধিক মানুষ Jul 04, 2025
কঙ্গনার ব্যক্তিগত ছবি চাইতেন হৃতিক, পাঠাতেন নিজের ছবিও Jul 04, 2025
img
সোনাক্ষী অভিযোগ: স্বামীর স্নেহেই খানিক মুটিয়ে গেছেন, লোকে বলছেন অন্তঃসত্ত্বা Jul 04, 2025
img
ইনসাফ ও মর্যাদার বাংলাদেশের জন্য লড়াই করছে এনসিপি : নাহিদ ইসলাম Jul 04, 2025