নোয়াখালীতে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে ব্লকেড কর্মসূচি পালন করেছেন ছাত্র-জনতা। শুক্রবার (৯ মে) বিকেল ৩টায় জেলা জামে মসজিদ মোড়ে এই কর্মসূচি শুরু হয়। এ সময় সড়কের একপাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
জুলাই ঐক্যের ব্যানারে কর্মসূচিতে এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন, ছাত্রশিবির, ইসলামী ছাত্র ও যুব আন্দোলন, রেড জুলাইসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। এদিন বিকেল ৫টার দিকে তারা কর্মসূচি তুলে নেন।
এর আগে, সুপার মার্কেটের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে বড় মসজিদ মোড়ে আসে ছাত্র-জনতা। এ সময় ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘আওয়ামী লীগের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘আওয়ামী লীগ, ব্যান ব্যান’সহ নানা স্লোগান দেন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী ছাত্র-জনতা।
ব্লকেড কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগের হাতে হাজারো ছাত্রের রক্ত লেগে আছে, রক্ত মাখা হাতে তারা বাংলাদেশে রাজনীতি করার অধিকার রাখে না। ৫ আগস্ট স্বৈরাচার হাসিনা এবং গণহত্যাকারী দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিষয়ে এ দেশের জনগণ সিদ্ধান্ত দিয়েছে, কিন্তু দুঃখজনকভাবে আজকে ৯ মাস পরেও আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধের জন্য আমাদের আবার রাজপথে নামতে হয়েছে। এতদিন পার হলেও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে না পারা, জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেইমানির শামিল।
বক্তারা আরও বলেন, ফ্যাসিস্ট ও খুনি আওয়ামী লীগের বিচার নিয়ে সরকার অযথা টালবাহানা করতে চাচ্ছে। আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল ও নিষিদ্ধের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে না। আসামিদের জামিন দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এসব নাটক এদেশের ছাত্র-জনতা মেনে নেবে না।
জুলাইয়ে আমাদের প্রতিশ্রুতি ছিল খুনিদের বিচার, মুজিববাদীরা বাংলার মাটিতে আর কখনও রাজনীতি করতে পারবে না। অচিরেই ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। গণহত্যাকারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ঘোষণা করতে হবে। জুলাইয়ে ২ হাজারের অধিক শহীদ হয়েছে, দরকার হলে আমরা আবারও রক্ত দেব।
নোয়াখালী শহর ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ আল মাহবুবের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য দেন শহর জামায়াতের সেক্রেটারি মো. মায়াজ, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা আমির, খেলাফত মজলিসের জেলা দক্ষিণের আমির, ছাত্রশিবির নোয়াখালী শহর শাখার সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের সদস্য হাবিবুর রহমান আরমান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম, এনসিপির কেন্দ্রীয় সদস্য তুহিন ইমরান, যুব অধিকার পরিষদের জেলা সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম প্রমুখ।
এ ছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নোয়াখালী জেলার মুখ্য সংগঠন ফরহাদুল ইসলাম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নোয়াখালী জেলার সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব মেহেদী হাসান সিমান্ত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নোয়াখালী জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরআর/টিএ