জিয়া খানের ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন সুরজ পাঞ্চোলি

২০১৩ সালে চমকে দিয়েছিল জিয়া খানের মৃত্যু। আত্মঘাতী হয়েছিলেন অভিনেত্রী। আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ উঠেছিল জিয়ার প্রেমিক সুরজ পঞ্চোলির বিরুদ্ধে। সেই ঘটনা নিয়ে জলঘোলা হয়েছে বিস্তর। তবে সলমন খান নাকি প্রথম থেকেই জানতেন, সুরজ নির্দোষ। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমনই জানিয়েছেন সুরজ নিজেই।

আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ থাকলেও, বলিউডে ঘটা করেই পা রাখেন সুরজ। সলমন খানের প্রযোজনায় হিরো ছবিতে অভিনয়ের সফর শুরু হয়েছিল তাঁর। বিপরীতে ছিলেন আথিয়া শেট্টি। সুরজ বলেছেন, “সলমন স্যর আমাকে একটাই প্রশ্ন করেছিলেন, ‘সুরজ তুমি কি সত্যিই খারাপ কিছু করেছ?’ এই প্রশ্ন আমাকে আমার বাবাও করেছিলেন। আমি উত্তরে বলি, আমি এমন কিছু করিনি। তার পরে আর সলমন স্যর আর আমাকে দ্বিতীয় প্রশ্ন করেননি। আমার উপর ভরসা রেখেই আমার প্রথম কাজের সুযোগ তিনি দিয়েছিলেন।”

সলমন নিজেও জানেন, অভিযুক্ত দোষী প্রমাণিত হওয়ার আগেই তাঁকে কোন কোন ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়। তাই নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে বিচার করেই ভরসা রেখেছিলেন সুরজের উপর। এমনই জানিয়েছেন অভিনেতা।

তিনি বলেছেন, “মানুষ যদি জানতে পারে মিডিয়া ট্রায়াল কী জিনিস, তা হলে তারা বুঝবে। সব প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। আর সব উত্তর নিয়ে ফের প্রশ্ন ওঠে। আমি তদন্তে সহযোগিতা করি এবং নির্দোষ প্রমাণিত হই। তার কারণ আমার বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণই ছিল না। তবে সেটা নিয়ে আর কেউ কোনও কথা বলে না। কেউ আমার পাশে দাঁড়ায়নি নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ার পরেও।”

তিনি আরও বলেন, “আমি আসলে নিজের হয়ে কথা বলিনি। এটা আমার ভুল ছিল। অনেকেই আমাকে চুপ থাকতে বলেছিলেন। কিন্তু আজ আমার মনে হয়, তখন কথা বললে মানুষ আমার দিকের গল্পটাও জানতে পারত। আজও কিন্তু সেগুলো আমি বলিনি। আর কোনও দিন বলবও না।”

২০২৩ সালে এই ঘটনা থেকে সিবিআই সুরজকে রেহাই দিয়েছিল। ‘কেসরী বীর: লেজেন্ডস অফ সোমনাথ’ ছবিতে দেখা যাবে সুরজকে।

এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
কোটা জালিয়াতির অভিযোগে জনপ্রশাসন কর্মকর্তা ও পরিবারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা Dec 12, 2025
img
চরিত্র বাছাইয়ে নিজের নিয়মেই চলেন বাসবদত্তা চ্যাটার্জি Dec 12, 2025
img
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যে ভেনেজুয়েলার পাশে দাঁড়ালো রাশিয়া Dec 12, 2025
img
নির্বাচনী তফসিল ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে রাজধানীতে জামায়াতের আনন্দ মিছিল Dec 12, 2025
img
ক্যারিবীয়দের অনায়াসে হারিয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল কিইউরা Dec 12, 2025
img
জাপানে আঘাত হানল ৬.৭ মাত্রার ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা Dec 12, 2025
img
তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস Dec 12, 2025
img
বায়ুদূষণের শীর্ষে দিল্লি, তালিকায় ঢাকার অবস্থান দশম Dec 12, 2025
img
মাগুরায় অবৈধভাবে মজুদ রাখা ৯৪ বস্তা সার জব্দ Dec 12, 2025
img
রাজধানীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস Dec 12, 2025
img
নিষ্ঠার সাথে কাজ করতে সদস্যদের প্রতি বিমানবাহিনী প্রধানের আহ্বান Dec 12, 2025
img
রাজধানীতে সিটি কর্পোরেশনের গাড়ির ধাক্কায় প্রাণ গেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ শিক্ষার্থীর Dec 12, 2025
img
নির্বাচন যত সহজ ভাবা হচ্ছে তত সহজ হবে না: তারেক রহমান Dec 12, 2025
img
সীমান্তে সংঘাতের মধ্যেই পার্লামেন্ট ভেঙে দিল থাইল্যান্ড Dec 12, 2025
img
স্থায়িত্ব বজায় রাখাই বড় কাজ: প্রধান বিচারপতি Dec 12, 2025
img
কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে : সেনাপ্রধান Dec 12, 2025
img
বাংলাদেশ ও মঙ্গোলিয়ার মধ্যে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি স্বাক্ষরিত Dec 12, 2025
img
ভোটগ্রহণে পর্যাপ্ত কর্মকর্তা না পাওয়া গেলে বেসরকারি ব্যাংক থেকে নিয়োগ Dec 12, 2025
img
দলমত নির্বিশেষে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করি : আব্দুল্লাহ Dec 12, 2025
img
বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য-মালদ্বীপ ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদারে বৈঠক Dec 12, 2025