জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময়ে ১৪ জুলাই রাজাকারের বাচ্চা বলে উসকানি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ অস্ত্র নিয়ে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগকে আন্দোলনকারীদের ওপর লেলিয়ে দেয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।
সোমবার (১২ মে) শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হয় ট্রাইব্যুনালে। প্রতিবেদনের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ব্রিফ করেন চিফ প্রসিকিউটর।
প্রতিবেদনে, গণহত্যায় সরাসরি নির্দেশ দেয়ার বিষয়ে একাধিক ফোনালাপ মিলেছে বলে জানান চিফ প্রসিকিউটর। হেলিকপ্টার, মারণাস্ত্র ব্যবহার করে আন্দোলনকারীদের নিশ্চিহ্ন করার নির্দেশসহ পাঁচটি অভিযোগের প্রমাণ মিলেছে বলেও জানান তিনি।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, প্রায় দেড় হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। টার্গেট করে শিশু হত্যা, নারীদের ওপর হামলায়, আহতদের হাসপাতালে নিতে ও চিকিৎসা নিতে বাধা, নিজে গিয়ে এসব রোগীকে চিকিৎসা দেয়া যাতে না হয় সেই নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা। এমন সব তথ্য প্রমাণ মিলেছে।
তিনি বলেন, চিকিৎসক, ভুক্তভোগী, শহীদ পরিবারের লোক, ভিডিও, অডিও, নিহত আহতদের শরীর থেকে পাওয়া গুলি, হেলিকপ্টারের ফ্লাইট শিডিউল, অনেক সাক্ষীদের জবানবন্দি, আসামিদের জবানবন্দি এই তদন্ত প্রতিবেদনে এসেছে।
তিনি জানান, রাজপথের চাপের ভিত্তিতে কোনো বিচার হবে না, সুষ্ঠু বিচার করতে হলে সময় একটু প্রয়োজন। তাই তাড়াহুড়া করে মামলা বিপথে নিতে চান না তারা। অঞ্চলভিত্তিক তদন্ত যেগুলো হয়েছে সেগুলোর তদন্ত চলছে।
চিফ প্রসিকিউটর আরও জানান, যদি মনে হয় কোনো রাজনৈতিক দল মানবতাবিরোধী অপরাধে সাথে যুক্ত তাহলে, চাইলে তদন্ত শুরু করতে পারে ট্রাইব্যুনাল।
টিকে/টিএ