প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যা মামলায় ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের ইংরেজি বিভাগের ছাত্রী ফারিয়া হক টিনাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১২ মে) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমানের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এদিন রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কর্মকর্তা বনানী থানার পরিদর্শক এ কে এম মঈন উদ্দিন তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে ৮ মে রাতে রাজধানীর ভাটারা থানাধীন এলাকা থেকে র্যাব-১ তাকে গ্রেফতার করে। পরদিন ৯ মে তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
মামলার সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ এপ্রিল বিকাল ৪টার পর বনানীতে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ ও টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়।
ওই ঘটনার এক পর্যায়ে ছুরিকাঘাতে জাহিদুল ইসলাম পারভেজ নিহত হন। এ ঘটনার পরের দিন ২০ এপ্রিল পারভেজের ফুফাতো ভাই হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে বনানী থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় আটজনকে এজাহারনামীয় আসামি করা হয়। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা আরো ২০-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
গত ২১ এপ্রিল এ মামলায় গ্রেফতার আল কামাল শেখ, আলভী হোসান জুনায়েদ ও আল আমিন সানির সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এদের মধ্যে গত ২৩ এপ্রিল আসামি কামাল আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। একই দিন আসামি মো. হৃদয় মিয়াজীর সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
এ ছাড়া গ্রেফতারের পর ২৪ এপ্রিল প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. মাহাথির হাসান আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। গত ২৫ এপ্রিল এ মামলার প্রধান আসামি মেহেরাজ ইসলামের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ২৭ এপ্রিল রিমান্ড শেষে আলভী ও সানিকে এবং ২৯ এপ্রিল হৃদয় মিয়াজী ও মেহেরাজ ইসলামকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরএ/টিএ