ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৫ আগস্ট থেকে তিনি সেখানেই অবস্থান করছেন। শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত পাঠাতে ভারত সরকারের সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনাও করেছে বাংলাদেশ, তবে এখনও কোনো সুনির্দিষ্ট জবাব দেয়নি ভারত।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ভারতের প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধী শেখ হাসিনার প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।
মঙ্গলবার (১৩ মে) এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের প্রেস সচিব তারিক চয়ন।
পোস্টে তিনি লেখেন, “নিজ দেশের সাধারণ জনগণের ধাওয়া খেয়ে পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চান না ভারতের প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধী।"
তিনি আরও জানান, “গত মাসে যুক্তরাষ্ট্র সফরে যান রাহুল গান্ধী। ২১ এপ্রিল, বোস্টনের ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি নিজের এই অবস্থান জানান।”
ওই অনুষ্ঠানে মাহির নামের এক অংশগ্রহণকারী রাহুল গান্ধীকে প্রশ্ন করেন:
“আমি মাহির বলছি। আমি আজ আপনাকে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতে চাই৷ দুটি বিষয় নিয়ে। প্রথমত, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর এখন ভারতে অবস্থান করছেন।”
রাহুল গান্ধী তখন জিজ্ঞাসা করেন, “আপনি কি বাংলাদেশ থেকে বলছেন?”
মাহির উত্তর দেন, “আমার বাবা-মা বাংলাদেশের। সুতরাং, হ্যাঁ। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে বিক্ষোভ পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে তিনি (হাসিনা) পালিয়ে যাওয়ার পর ভারতের কি উচিত শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে দেওয়া যাতে প্রতিবাদ দমনের জন্য তার বিচার করা যায়?”
রাহুল তখন হেসে বলেন, “আমি এই বিষয়ে নাক গলাবো না।”
পরে আরেকটি প্রশ্নের জবাবে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে রাহুল গান্ধী বলেন,
“শেখ হাসিনার বিষয়ে আমি আসলে কোনও মন্তব্য করবো না। কারণ, আমি এ বিষয় নিয়ে নাক গলাবো না।”
টিকে/টিএ