বৈঠকে পুতিন উপস্থিত না হলে আলোচনায় যোগ দেবে না ইউক্রেন: জেলেনেস্কি

তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সম্ভাব্য রাশিয়া-ইউক্রেন শীর্ষ বৈঠককে ঘিরে জটিলতা তৈরি করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সরাসরি অংশ না নিলে তিনি কোনো রুশ প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনায় বসবেন না। অর্থাৎ যদি পুতিন বৈঠকে থাকেন, তাহলেই তিনি যাবেন।

এই শর্ত এমন এক সময়ে এসেছে, যখন রাতের আঁধারে হামলা চালিয়ে রুশ বাহিনীকে নাস্তানাবুদ করছে ইউক্রেনের ভ্যাম্পায়ার ড্রোন।

জেলেনস্কি বলেন, যুদ্ধবিরতি ছাড়া অন্য কোনো বিষয়ে আলোচনা ‘ব্যর্থ’ বলে গণ্য হবে। রাশিয়া প্রস্তাবিত এই বৈঠক আয়োজনে তুরস্ক মধ্যস্থতার ভূমিকা নিচ্ছে।

রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ বলেছেন, ইস্তাম্বুলে সরাসরি আলোচনার জন্য রুশ প্রতিনিধিদল প্রস্তুত। তবে ক্রেমলিন এখনও নিশ্চিত করেনি যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন যাবেন কি না।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, বৈঠক থেকে ‘ইতিবাচক ফল’ আসতে পারে। বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।

এদিকে, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, রাশিয়া যদি যুদ্ধবিরতিতে রাজি না হয়, তাহলে ‘অর্থনৈতিক সেবা খাতে নতুন নিষেধাজ্ঞা’ দেয়া হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব ওয়ার (আইএসডাব্লিউ) বলছে, রাশিয়ার কর্মকর্তারা ইতিমধ্যে বৈঠক বাতিলের জন্য শর্ত তৈরি করছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই কূটনীতিকের মতে, পুতিনের উপস্থিতি নিয়ে তাদের (রাশিয়া) আশঙ্কাই বেশি। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনেস্কি বলেছেন, ‘রাশিয়ায় সবকিছু পুতিনের ওপর নির্ভরশীল। তাই আমি শুধু তার সাথেই সরাসরি কথা বলতে চাই।’

দুই দেশের প্রেসিডেন্টের তরফ থেকে সন্মতি না আসলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মধ্যস্থতা থেকে সরে যাবার বিষয়টি সামনে আসবে। কেননা, এর আগে, বুধবার (৩০ এপ্রিল) মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও বলেছেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে অগ্রগতি না হলে মধ্যস্থতার ভূমিকা থেকে সরে দাঁড়াবে যুক্তরাষ্ট্র।

সূত্র: সিএনএন নিউজ

আরআর/টিএ

Share this news on: