ডোনাল্ড ট্রাম্প সৌদি আরবে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার সঙ্গে দেখা করেছেন। আমেরিকা সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর এই সংক্ষিপ্ত বৈঠকটি হয়েছিল।
ট্রাম্প বলেছেন, এই পদক্ষেপটি তাদের (সিরিয়া) সুযোগ দেওয়ার জন্য তৈরি করা হয়েছে। সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান মার্কিন-সিরিয়া বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন।
অন্যদিকে তুরস্কের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান দূর থেকে যোগ দিয়েছিলেন। ট্রাম্প এরপর উপসাগরীয় নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনে ভাষণ দেন।
ট্রাম্প ইরানের সঙ্গেও একটি চুক্তি চান, তবে তাদের ‘সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষকতা’ বন্ধ করতে হবে বলে জানান। আজ সকালে রিয়াদে তার বৈঠকের পর, ট্রাম্প তার চার দিনের মধ্যপ্রাচ্য সফরের পরবর্তী গন্তব্যে কাতার যাবেন।
আল-কায়েদার সঙ্গে সিরিয়ার নেতাদের পূর্বের সম্পর্ক নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে উদ্বেগ থাকা সত্ত্বেও, ট্রাম্প মঙ্গলবার রিয়াদে এক ভাষণে বলেছেন, তিনি সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবেন। ডিসেম্বর পর্যন্ত আমেরিকা আল-শারার গ্রেপ্তারের জন্য ১০ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছিল। আল শারা এক সময় সশস্ত্র গোষ্ঠী আল কায়েদার কমান্ডার ছিলেন। ২০১৬ সালে তিনি আল কায়েদার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, মার্কিন নেতা সৌদি আরব সফর শেষ করে কাতারে যাওয়ার আগে ট্রাম্প আল-শারার সঙ্গে ‘হ্যালো বলতে’ রাজি হয়েছেন। আল-শারার হায়াত তাহরির আল-শাম বা এইচটিএসের নেতৃত্বে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর এক অত্যাশ্চর্য আক্রমণের এক মাস পর, জানুয়ারিতে আল-শারাকে সিরিয়ার রাষ্ট্রপতি হিসেবে মনোনীত করা হয়। ওই আক্রমণ করে আসাদ পরিবারের ৫৪ বছরের শাসনের অবসান ঘটায় গোষ্ঠীটি।
ট্রাম্প বলেছেন, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এবং তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ানের উৎসাহে তিনি আল-শারার সঙ্গে দেখা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মঙ্গলবার এক ভাষণে ট্রাম্প ঘোষণা করেন, ‘সিরিয়ায় একটি নতুন সরকার এসেছে, আশা করা যায় দেশকে স্থিতিশীল করতে এবং শান্তি বজায় রাখতে সফল হবে।
সিরিয়ায় আমরা এটাই দেখতে চাই।’ ২০১১ সাল থেকে সিরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল।
সূত্র : বিবিসি
এফপি/টিএ