যুক্তরাজ্যের আকাশে ২০২৮ সালের মধ্যে উড়ুক্কু ট্যাক্সি চালু হবে-এমনই ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির পরিবহনমন্ত্রী মাইক কেন। আধুনিক প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতেই সরকারের এ উদ্যোগ।
সম্প্রতি পার্লামেন্টে এক বক্তব্যে পরিবহনমন্ত্রী বলেন, ‘ভবিষ্যতের ফ্লাইট প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে সাধারণ মানুষও অর্থনীতির উপকারে আসবে এমন একটি পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চায় সরকার’।
তিনি আরও জানান, উড়ুক্কু ট্যাক্সির বাস্তবায়নে কাজ করছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (CAA) ও পরিবহন বিভাগ (DfT), যাদের সহায়তা করছে ‘রেগুলেটরি ইনোভেশন অফিস’ নামের নতুন একটি সংস্থা। তাদের কাজ, নিয়ম-কানুন সহজ করে এ প্রযুক্তিকে বাস্তবে রূপ দেওয়া। এ লক্ষ্যে যুক্তরাজ্য সরকার সম্প্রতি ২ কোটি পাউন্ড বরাদ্দ দিয়েছে ‘ফিউচার ফ্লাইট প্রোগ্রাম’ নামে একটি প্রকল্পে। এরই অংশ হিসাবে মার্কিন কোম্পানি ‘জোবি এভিয়েশন’ ব্রিটিশ এয়ারলাইন ‘ভার্জিন আটলান্টিক’-এর সঙ্গে অংশীদারত্বে কাজ করছে। হিথ্রো ও ম্যানচেস্টার বিমানবন্দরে উড়ুক্কু ট্যাক্সির কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে।
জোবির তৈরি বিদ্যুৎচালিত এয়ার ট্যাক্সিতে একজন পাইলটসহ মোট চারজন যাত্রী ভ্রমণ করতে পারবেন। এগুলোর সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ২০০ মাইল পর্যন্ত। এতে দূষণ কমবে এবং যাতায়াতে সময় বাঁচবে। নরউইচ বিমানবন্দরের একটি প্রকল্প তুলে ধরে লেবার এমপি অ্যালিস ম্যাকডোনাল্ড বলেন, পূর্ব ইংল্যান্ডকে বিমান প্রযুক্তির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করার স্বপ্ন দেখছে তারা।
পরিবহনমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এ বিদ্যুচ্চালিত বিমানে উঠে তিনি যেন অভিজ্ঞতা অর্জন করেন।’ সব মিলিয়ে, ২০২৮ সাল নাগাদ যুক্তরাজ্যের আকাশে উড়ুক্কু ট্যাক্সির চালু হওয়া শুধু ভবিষ্যতের কল্পনা নয়-বরং তা বাস্তবতার পথে এগিয়ে চলা এক সাহসী পদক্ষেপ।'
আরআর/এসএন