ভারতের ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রা সম্পর্কে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। এ বার তার পাক-আফগান সীমান্তে যোগাযোগের তথ্যও পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি ভারতের তদন্তকারীদের।
ঘটনাচক্রে, পাক-আফগান সীমান্তকে ‘জঙ্গিদের ডেরা’ বলে দাবি করা হয়। ওই অঞ্চলে সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ। কিন্তু ওই এলাকায় কীভাবে জ্যোতি প্রবেশ করলেন, কাদের মদতে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হরিয়ানার ইউটিউবারকে পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে আগেই গ্রেফতার করেছে ভারতের পুলিশ। পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
পুলিশের পাশাপাশি এই ঘটনার তদন্ত করছে ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (আইবি) এবং জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)।
হরিয়ানা পুলিশ, আইবি এবং এনআইএ মিলে জ্যোতিকে জেরা করছে। তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করতে নানা রকম ভুলভাল উত্তর দিচ্ছেন ইউটিউবার। তবে পুলিশ সূত্রে খবর, ভারতে চরবৃত্তির জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগাচ্ছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। কোন কোন প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
পুলিশ দাবি করছে, পাক হাই কমিশনের কর্মকর্তা এহসান দার ওরফে দানিশের সঙ্গে তার যোগাযোগের কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন জ্যোতি। পাক হাই কমিশনের এই আধিকারিককেই গত ১৩ মে দু’দেশের সামরিক অস্থিরতার সময়ে বহিষ্কার করেছিল ভারত। জ্যোতির মোবাইল পরীক্ষা করে জানা গিয়েছে, দানিশের সঙ্গে তার কয়েকটি কথোপকথন মুছে দেওয়া হয়েছে। আর এটা থেকেই তদন্তকারীদের ধারণা, ওই কথোপকথনেই রহস্য লুকিয়ে রয়েছে। পাক এজেন্টকে কী তথ্য পাঠানো হয়েছিল, ওই মেসেজ উদ্ধারের পরই জানা যাবে।
পাকিস্তানের পাশাপাশি চিন সফরও জ্যোতির সফর তদন্তকারীদের আতশকাচের তলায়। সূত্রের খবর, প্রথম বার ২০২৩ সালের এপ্রিলে ৩২৪তম বৈশাখী উৎসবে পাকিস্তানে গিয়েছিলেন জ্যোতি। তার পর ২০২৪ সালে এবং এ বছরের মার্চে আবার পাকিস্তানে যান তিনি। ২০২৪ সালে পাকিস্তানে গিয়ে ২০ দিন থেকেও ছিলেন জ্যোতি। তার পর সেখান থেকে ভারতে ফিরে ওই বছরেই চিনে যান হরিয়ানার ইউটিউবার।
টিকে/টিএ