ভারতের সঙ্গে যুদ্ধে কপাল খুলল পাক সেনাপ্রধানের

ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক কালের সবচেয়ে বড় সংঘাতের পরেই কপাল খুলল পাক সেনাপ্রধানের। জেনারেল আসিম মুনির পেয়েছেন দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সামরিক পদোন্নতি। তিনি এখন ফিল্ড মার্শাল—যা পাক সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ র‌্যাঙ্ক।

মঙ্গলবার (২০ মে) পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের বরাতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

চলতি মে মাসের শুরুতে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে মিসাইল-ড্রোন হামলা, গোলাগুলি ও গোলাবর্ষণের মতো তীব্র উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়। সংঘাতে পাকিস্তান নিজেকে বিজয়ী বলে দাবি করে। এরপর কয়েকদিনের মধ্যেই সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকে ফিল্ড মার্শাল পদে উন্নীত করা হলো।

পাকিস্তানের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম পিটিভি জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভা এই পদোন্নতির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। তাদের দাবি, ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক দ্বন্দ্বে মুনিরের ‘অসাধারণ নেতৃত্ব ও কৌশলগত ভূমিকা’র কারণেই তাকে এই মর্যাদাপূর্ণ পদ দেওয়া হয়েছে।

যুদ্ধবিরতির পর পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলেও ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা এখনো পুরোপুরি কমেনি। এর মধ্যেই সেনাপ্রধান মুনির হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘পাকিস্তান শান্তি চায়, তবে দেশের সম্মান ও সার্বভৌমত্বে আঘাত এলে আমরা পাল্টা জবাব দিতে দ্বিধা করব না।’

অন্যদিকে, ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের চালানো ‘অপারেশন সিঁদুর’ এখনো শেষ হয়নি। প্রয়োজনে পাকিস্তানে আরও হামলার প্রস্তুতি রয়েছে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছে নয়াদিল্লি।

আসিম মুনির ২০২২ সালের নভেম্বরে পাকিস্তানের ১১তম সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়ার স্থলাভিষিক্ত হন। ২০২৪ সালের নভেম্বরে তার মেয়াদ তিন বছর থেকে বাড়িয়ে পাঁচ বছর করা হয়, যা দেশটির সামরিক ইতিহাসে একটি ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত।

এর আগে মুনির ছিলেন পাকিস্তানের শক্তিশালী গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর প্রধান। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে পুলওয়ামা হামলার সময় তিনি গোয়েন্দা প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ওই ঘটনায় ৪০ জন ভারতীয় জওয়ান নিহত হন, যা ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটায়।

সেই সময়ের গোয়েন্দা ব্যবস্থাপনায় জেনারেল মুনিরের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য ছিল বলে মনে করা হয়।

আরএম/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
জুটি বাঁধলেন খাইরুল বাসার ও সাদনিমা Nov 20, 2025
img
ব্যর্থতাকে ভয় না করে চেষ্টা চালিয়ে যাও: অনিল কাপুর Nov 20, 2025
img
নিউইয়র্কের পার্কে একসঙ্গে জায়েদ খান ও মাহিয়া মাহি Nov 20, 2025
img
কারিশমা কাপুরের সঙ্গে সঞ্জয়ের বিচ্ছেদ নিয়ে সঞ্জয়ের বোনের মন্তব্য Nov 20, 2025
img
আমরা চাই বাচ্চারা খেলাধুলায় ফিরে আসুক : আসিফ আকবর Nov 20, 2025
img
টিজারের পর আইনি জটিলতায় রাজামৌলির ‘ভারাণসী’ Nov 20, 2025
img
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রায়ে আইন উপদেষ্টার প্রতিক্রিয়া Nov 20, 2025
img

৪৭তম বিসিএস

পরীক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি পিএসসির বিবেচনায় নেওয়া জরুরি : এনসিপি Nov 20, 2025
img
ফের ধানুশের সঙ্গে জুটিবদ্ধ হচ্ছেন সাই পল্লবী Nov 20, 2025
img
সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে তারেক রহমানের শুভেচ্ছা Nov 20, 2025
img
সাকিব আল হাসানকে দুদকে তলব Nov 20, 2025
img
অর্ধশতাব্দীর যাত্রা, ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে নতুন দিগন্ত রজনীকান্তের Nov 20, 2025
img
শাহরুখের হবে উন্নতি, সালমানের হবে পতন: সুশিল কুমার সিং Nov 20, 2025
img
৪১ বছর আগে জামায়াতের পক্ষ থেকে তত্ত্বাবধায়কের প্রথম প্রস্তাব দেওয়া হয়: শিশির মনির Nov 20, 2025
img
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরে আসায় সাধারণ মানুষের বিজয় হয়েছে: দুলু Nov 20, 2025
img
মালদ্বীপে ভারতের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নাতির সঙ্গে একান্তে অভিনেত্রী তারা সুতারিয়া Nov 20, 2025
img
সবার কাছে বিনা মূল্যে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে চাই : আমীর খসরু Nov 20, 2025
img
নারীর মুক্তি আসে পুরুষের সহযোগিতায়: রূপাঞ্জনা মিত্র Nov 20, 2025
img
নাগরিকদের ভীতি দূর না হলে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্ভব নয় : দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য Nov 20, 2025
img
‘আমি কায়সার কামাল স্যারের কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইছি’ Nov 20, 2025