উপদেষ্টা আসিফ নজরুলকে বিশ্বাসঘাতক বললেন, নাসিরুদ্দীন পাটওয়ারী

আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলকে বিশ্বাসঘাতক এবং অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ দেশের অর্থনীতি গুঁড়িয়ে দিতে কাজ করছেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক নাসিরুদ্দীন পাটওয়ারী। একই সঙ্গে তিনি এই তিন উপদেষ্টাকে বিএনপিপন্থি আখ্যা দিয়ে তাদের পদত্যাগ দাবী করেন।

বুধবার (২১ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভ করেন তারা।

আইন উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে পাটওয়ারী বলেন, আসিফ নজরুল জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে টালবাহানা করছেন। জনগণের রক্তের সঙ্গে তিনি বেইমানি করছেন। হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্র না দিলে আপনি দেশে থাকতে পারবেন না।

নাসিরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, উপদেষ্টাদের মধ্যে যারা বিএনপির মুখপাত্র হিসেবে কাজ করছেন, তাদের পদত্যাগ করাতে বাধ্য হবো। বাংলাদেশের অর্থনীতি গুঁড়িয়ে দিতে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ ও অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ কাজ করছেন। আর আইন মন্ত্রণালয় গুঁড়িয়ে দিতে কাজ করছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।

তিনি বলেন, ইসি পুনর্গঠন ছাড়া এনসিপি কোনো ভোট করতে দেবে না। ইসি বিএনপির দলীয় কার্যালয় হিসেবে কাজ করছে। রক্তের ম্যানডেট নিয়ে বিএনপির পক্ষে কাজ করতে পারেন না। ইসিকে আগে স্থানীয় নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

পাটওয়ারী বলেন, বিভিন্ন জায়গায় দালাল চক্র দখল করছে। উপদেষ্টা প্যানেল থেকে বিএনপিপন্থিদের বের করে দেন।

বিএনপি মরদেহের রাজনীতি শুরু করেছে উল্লেখ করে বলেন, আওয়ামী লীগের টাকায় তারা বড় বড় কথা বলে। তাদের টাকাতেই বিএনপি নগর ভবন বন্ধ করছে। বাংলাদেশে ‘মুজিবীয় সংবিধান’ চলবে না বলেও মন্তব্য করেন এনসিপির এই নেতা। 

এনসিপির মুখ্য সংগঠক আরও বলেন, আপনারা বিএনপির কাছে নগর ভবন ছেড়ে দিতে পারেন না। আপনারা বিএনপির কাছে দলীয় কার্যালয় হিসেবে ইলেকশন কমিশনকে ছেড়ে দিতে পারেন না। এটা জনগণের সঙ্গে সরাসরি গাদ্দারি। সেজন্য আমরা বলি, ইসি পুর্নগঠন করতে হবে। সংস্কারের যে প্রস্তাব রয়েছে, সেগুলোকে মান্য করে আইন পরিবর্তন করতে হবে।

আরএম/এসএন  

Share this news on:

সর্বশেষ

img
‘শুদ্ধ সাদা এক মেয়ের জীবন’- ক্যাপশনে জীবনের গল্প বললেন পরীমণি Jul 19, 2025
img
‘মার্চ টু গোপালগঞ্জে’ রাষ্ট্রের কত অর্থ ব্যয় হয়েছে, প্রশ্ন মাসুদ কামালের Jul 19, 2025
img
ভোলার চরফ্যাশনে সাড়ে ১৪ কোটি টাকার অবৈধ জাল ও পলিথিন জব্দ Jul 19, 2025
img
কেন প্রেম ভেঙেছিল আলিয়া- সিদ্ধার্থের! Jul 19, 2025
img
আগামী পাঁচ দিনে বাড়বে বৃষ্টির প্রবণতা, উত্তরাঞ্চলে ভারি বর্ষণের সতর্কতা Jul 19, 2025
img
বিএনপিকে খেপিয়ে কীভাবে মাঠে টিকে থাকবেন, জানি না : ইলিয়াস হোসেন Jul 19, 2025
img
সিনেমা হলগুলো দর্শক হারানোর কারণ জানালেন পঙ্কজ ত্রিপাঠি! Jul 19, 2025
img
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘ইতিহাস’ গড়ল জামায়াত! Jul 19, 2025
img
‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’ শো এর মাধ্যমে সবচেয়ে দামি সঞ্চালক হতে যাচ্ছেন অমিতাভ বচ্চন! Jul 19, 2025
img
কুমিল্লার মুরাদনগরে জনসভা করার ঘোষণা দিলেন ইশরাক Jul 19, 2025
img
অবসর ভেঙে আবারও ফিরেছেন ব্রাজিলের কিংবদন্তি ফুটবলার! Jul 19, 2025
img
সৈকতে কারিনার ‘লুঙ্গি ড্যান্স’, নেটদুনিয়ায় ঝড়! Jul 19, 2025
img
জামায়াতের সমাবেশ ঘিরে নিরাপত্তায় ১২ হাজার পুলিশ, রয়েছে র‍্যাব-ডিবিও Jul 19, 2025
img
বাসা থেকে অভিনেত্রীর মরদেহ উদ্ধার Jul 19, 2025
img
গায়ানার কাছে হেরে টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন ভঙ্গ হলো রংপুর রাইডার্সের Jul 19, 2025
img
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের বিরুদ্ধে ১০ বিলিয়ন ডলারের মানহানির মামলা ট্রাম্পের Jul 19, 2025
img
নির্বাচনের জন্য আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ : আব্দুন নূর তুষার Jul 19, 2025
img
মুক্তির এক বছর আগেই শুরু নোলানের 'দ্য ওডিসি'র টিকিট বিক্রি! Jul 19, 2025
img
ঢাকায় সমাবেশে আসার পথে সড়কে প্রাণ গেল জামায়াত নেতার Jul 19, 2025
img
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দিয়ে জাতীয় সমাবেশের প্রথম পর্ব শুরু করল জামায়াত Jul 19, 2025