বাগেরহাটের মোংলায় পৌর বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক মেয়র মো. জুলফিকার আলীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ও বাকবিতণ্ডা ছড়িয়ে পড়ে।
ঘটনাটি ঘটে বুধবার (২১ মে) দুপুরে মোংলা প্রেস ক্লাবের মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মে দিবস উপলক্ষে গত ২৪ এপ্রিল মোংলা জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল মোংলা বন্দর শ্রমিক কর্মচারী সংঘের মাঠে একটি প্রস্তুতি সভার আয়োজন করে। একই দিন বিকেলে এনসিপির শ্রমিক প্রতিনিধিরাও একই স্থানে একটি সভার আহ্বান জানালে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
পরবর্তীতে ২৯ এপ্রিল দুই পক্ষ সমাবেশ করতে গেলে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সভা বন্ধ করে দেয়া হয়। কিন্তু সেদিন বিকালে এনসিপির নেতাকর্মীরা জোরপূর্বক সভা করতে গেলে শ্রমিকরা বাধা দেয় এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শ্রমিক সংঘের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক তিতুমীর চোকদার ২০ মে রাতে মোংলা পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মো. জুলফিকার আলীসহ ২১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৩৪-৪৫ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে মোংলা থানায় মামলা দায়ের করেন।
বুধবার এই মামলাকে ‘মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে দাবি করে মোংলা উপজেলা ও পৌর বিএনপি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। তবে সংবাদ সম্মেলনের সময় দুই পক্ষ একে অপরকে দোষারোপ করলে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে সিনিয়র নেতারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং সংবাদ সম্মেলন সম্পন্ন হয়।
বিএনপি নেতারা এসময় বলেন, ‘মোংলা পৌর বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক মেয়র জুলফিকার আলীসহ ২১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা একটি ষড়যন্ত্র। জনপ্রিয় নেতাকর্মীদের হেনস্তা ও দলের কার্যক্রমে বাধা দিতেই এই মামলা করা হয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলন থেকে বিকাল ৫টায় প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। নেতারা মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহারসহ দায়ীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
আরএ/টিএ