গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেছেন, শুধু ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দক্ষতা বা আন্তর্জাতিক সুনাম দিয়ে সবকিছু পাল্টানো সম্ভব নয়। তিনি বলেন, একজন খেলোয়াড় ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’ হতে পারেন, কিন্তু সঠিক দল ছাড়া ম্যাচ জেতানো যায় না। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ড. ইউনূস ভালো খেললেও, তাকে ম্যাচ জেতাতে সহায়তা করার মতো উপযুক্ত টিম তিনি পাচ্ছেন না। তাই ১০ মাসেও কোনো গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার বাস্তবায়ন হয়নি।
শুক্রবার (২৩ মে) সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে এসব কথা বলেন।
তিনি লেখেন, মূল ঝামেলা বেঁধেছে মানবিক করিডর ও চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে! এই দুটো বিদেশিদের দেওয়ার জন্য একমত হয়ে যান, উপদেষ্টা পরিষদ বাগবাকুম করতে থাকবে। প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের গুঞ্জন ছড়িয়ে বিদেশ নির্ভর এসব উপদেষ্টারা নিজেদের প্রভুদের দেওয়া ওয়াদা রক্ষা করতে চায়। মূলত এভাবে ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করা হচ্ছে। দেশের সিকিউরিটি থ্রেট তাদের কাছে মুখ্য বিষয় নয়, এনজিও চালিয়ে পয়সা পাঁতি কামানোই তাদের কাছে মুখ্য বিষয়।
তিনি আরও লেখেন, ১০ মাসেও সরকার যদি কোনো সংস্কার করতে না পারে, সেই ব্যর্থতা কার? সংস্কার কি কোনো পুথিগত আলাপ দিয়ে সম্ভব? এজন্য দরকার সব দলের অংশগ্রহণে ঘনঘন রাজনৈতিক সংলাপ। কিন্তু সেটি করা হয় না। এখনো পর্যন্ত দলগুলোকে নিয়ে একটেবিলে বসে মন খুলে কোনো আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। নামে মাত্র ইস্যুভিত্তিক দুইটা সংলাপ ডেকেছে, প্রতিটা দলের একজন করে ২-৩ মিনিট কথা বলার সুযোগ পেয়েছে। সেটাও আবার সংস্কারের জন্য সংলাপ নয়। ১০ মাসেও যদি রাজনৈতিক দলগুলোকে একটেবিলে বসিয়ে সময় নিয়ে আলোচনার উদ্যোগ তারা না নেয়, ঐকমত্য কি আপনা-আপনি হয়ে যাবে? সবকিছু আবেগ দিয়ে হয় না, বাস্তবায়নের জন্য যোগ্য লোকের প্রয়োজন হয়।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস স্যারের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা তার সঙ্গে যোগ্য লোককে তিনি নেননি, ছাত্রদের পরামর্শে একদল অনভিজ্ঞ, বিতর্কিত দিয়ে তিনি উপদেষ্টা পরিষদ গঠনে সম্মতি দিয়েছেন। আর এজন্যই সবচেয়ে বড় সমস্যাটা হচ্ছে যে, ১০ মাসেও উপদেষ্টাদের কাজের সফলতা, রাষ্ট্র সংস্কারে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ, গণহত্যার বিচারে তৎপরতা পরিলক্ষিত হচ্ছে না।
তিনি আরও লেখেন, এক ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের পারফরম্যান্স, আন্তর্জাতিক ইমেজ দিয়ে সবকিছুর পরিবর্তন হবে না। ভাল টিম না পেলে ম্যান অব দ্যা ম্যাচ হওয়া যায়, কিন্তু ম্যাচ জেতা যায় না। ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস স্যারের এই দুর্ভাগ্য যে, তিনি নিজে ভাল খেলতেছেন, কিন্তু ম্যাচ জেতানোর প্লেয়ার পাচ্ছেন না। এ কারণেও ১০ মাসে কোনো সংস্কার হয়নি।
আরএ/টিএ