ভিক্ষা করার অভিযোগে ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ৫ হাজারেরও বেশি পাকিস্তানিকে নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়েছে সৌদি আরব।
একই অভিযোগে গত ১৬ মাসে আরও ৩৬৯ জন পাকিস্তানিকে ফেরত পাঠিয়েছে ইরাক, মালয়েশিয়া, ওমান, কাতার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত— ৫ দেশ।
সম্প্রতি পাকিস্তানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির অধিবেশনে বক্তব্য দেওয়ার সময় এ তথ্য জানিয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহসিন নাকভি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ফেরত আসা পাকিস্তানিদের একটি তালিকা তৈরি করেছে। সেই তালিকাটি হাতে পেয়েছে দেশটির জাতীয় দৈনিক ডন।
এদিকে বিদেশে পাকিস্তানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার দায়ে ফেরত আসা এই পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নাকভি। আজ রোববার এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ফেরত আসা পাকিস্তানিদের পাসপোর্ট বাতিল করা হবে এবং সেই সঙ্গে ফৌজদারি মামলাও দায়ের করা হবে।
বিবৃতিতে নাকভি আরও বলেছেন, যাদের পাসপোর্ট বাতিল হবে, তারা আগামী অন্তত ৫ বছর নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন না।
প্রসঙ্গত, বিদেশে পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিক্ষাবৃত্তি পাকিস্তানের জন্য দীর্ঘদিনের একটি অস্বস্তিকর সংকট। অনেক দরিদ্র পাকিস্তানি নিজের সহায়-সম্বল বিক্রি করে ভুয়া এজেন্টদের মাধ্যমে বিদেশে গিয়ে প্রতারিত হয়। সেখানে নিঃস্ব অবস্থায় তাদের একমাত্র পেশা হয়ে ওঠে ভিক্ষা। এছাড়া অনেকে হজ বা ওমরাহর অজুহাতে সৌদি গিয়ে সেখানে স্থায়ী হওয়ার চেষ্টা করে এবং পেশা হিসেবে বেছে নেয় ভিক্ষাকে।
নাগরিকদের এই প্রবণতা বন্ধ করতে পাকিস্তানের সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে এবং নিচ্ছে, কিন্তু কার্যক্ষেত্রে সেগুলো প্রত্যাশিত ফলাফল আনতে পারছে না।
সূত্র : ডন, জিও টিভি
আরএম/এসএন