সরকারের কথাবার্তা-চালচলন মানুষকে বিরক্ত করে তুলেছে : রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন,‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আমাদের অনাস্থা এখনো নেই।

কিন্তু আপনাদের কথাবার্তা, আপনাদের চালচলন মানুষকে কিন্তু বিরক্ত করে তুলেছে। এই কাজগুলো আপনারা করবেন না। আপনারা অবিলম্বে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করুন। অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন এইটা শেখ হাসিনা কেড়ে নিয়েছিল। শেখ হাসিনার সেই কেড়ে নেওয়া নির্বাচনের ধারায় যদি আপনারাও চলেন, তাহলে জনগণ মনে করবে শেখ হাসিনার গায়ের বাতাস আপনাদের শরীরেও লেগেছে। তাই ওই কাজ করবেন না।’

সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট সময় দেন এরমধ্যে অনেক কাজ করা যায়।আপনারা সংস্কারের কথা বলছেন সংস্কার করতে বেশি সময় লাগে না।দশ মাস সময় চলে গেছে যদি ডিসেম্বরে নির্বাচন হয় আরো অনেক সময় বাকি আছে এত সময় লাগার তো কথা না।

রবিবার(২৫ মে)বিকেলে নয়াপল্টনে যশোর জেলাধীন নোয়াপাড়া পৌর কৃষকদলের সভাপতি তরিকুল ইসলামকে সন্ত্রাসী কর্তৃক গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন,'আজকে জনগণের কর্তৃত্ব নেই আজকে নির্বাচিত সরকার নেই।আজকে জনগণ ভোট দিতে পারছে না প্রায় ১৭-১৮ বছর জনগণ তার মনোনীত সরকার পায়নি বলেই কোন জায়গায় প্রশাসন তার কর্তৃত্ব ফলাতে পারছেন না।পুলিশ কোন কাজ করতে পারছে না পুলিশ নির্বিকার ভাবে দাঁড়িয়ে আছে।সে কারণেই একের পর এক সমাজ বিরোধী কাজ হত্যা সন্ত্রাসী কাজ খুন রাষ্ট্রে লেগে আছে।এগুলোর জন্য আমাদের আরো প্রতিবাদ করতে হবে আরো জাগ্রত হতে হবে।

প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন,'আমরা আপনার বিরুদ্ধে নই।আপনার প্রতি সম্মান জানিয়েই আমরা কথা বলি কিন্তু আপনার উপদেষ্টারা যখন বড় বড় কথা বলে তখন আমাদের কথা বলতে হয় আপনার একজন উপদেষ্টা বললেন আমি যদি বিদেশি নাগরিক হই তাহলে তারেক রহমানের বেলায়ও তো সেই কথা থাকবে।আরে বেটা ইয়াকুবের বেটা বেকুব সে কোন স্টাটাসে বিদেশে আছে সে তো জাতিসংঘের সনদ অনুযায়ী সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয়ে অবস্থান করছেন।তারেক রহমান দেশে থাকলে শেখ হাসিনা তাকে হত্যা করতো।

এসময় তিনি প্রশ্ন রেখে আরও বলেন,'এখন তো শেখ হাসিনা নেই তার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নেই তার পরও কৃষকদল নেতা তারিকুল হত্যাকান্ডের শিকার হবে কেন?

বিক্ষোভ সমাবেশে কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল সহ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

আরএম/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ময়মনসিংহের ২০ হাজার নেতাকর্মী মিছিল Jul 19, 2025
img
‘শুদ্ধ সাদা এক মেয়ের জীবন’- ক্যাপশনে জীবনের গল্প বললেন পরীমণি Jul 19, 2025
img
‘মার্চ টু গোপালগঞ্জে’ রাষ্ট্রের কত অর্থ ব্যয় হয়েছে, প্রশ্ন মাসুদ কামালের Jul 19, 2025
img
ভোলার চরফ্যাশনে সাড়ে ১৪ কোটি টাকার অবৈধ জাল ও পলিথিন জব্দ Jul 19, 2025
img
কেন প্রেম ভেঙেছিল আলিয়া- সিদ্ধার্থের! Jul 19, 2025
img
আগামী পাঁচ দিনে বাড়বে বৃষ্টির প্রবণতা, উত্তরাঞ্চলে ভারি বর্ষণের সতর্কতা Jul 19, 2025
img
বিএনপিকে খেপিয়ে কীভাবে মাঠে টিকে থাকবেন, জানি না : ইলিয়াস হোসেন Jul 19, 2025
img
সিনেমা হলগুলো দর্শক হারানোর কারণ জানালেন পঙ্কজ ত্রিপাঠি! Jul 19, 2025
img
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘ইতিহাস’ গড়ল জামায়াত! Jul 19, 2025
img
‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’ শো এর মাধ্যমে সবচেয়ে দামি সঞ্চালক হতে যাচ্ছেন অমিতাভ বচ্চন! Jul 19, 2025
img
কুমিল্লার মুরাদনগরে জনসভা করার ঘোষণা দিলেন ইশরাক Jul 19, 2025
img
অবসর ভেঙে আবারও ফিরেছেন ব্রাজিলের কিংবদন্তি ফুটবলার! Jul 19, 2025
img
সৈকতে কারিনার ‘লুঙ্গি ড্যান্স’, নেটদুনিয়ায় ঝড়! Jul 19, 2025
img
জামায়াতের সমাবেশ ঘিরে নিরাপত্তায় ১২ হাজার পুলিশ, রয়েছে র‍্যাব-ডিবিও Jul 19, 2025
img
বাসা থেকে অভিনেত্রীর মরদেহ উদ্ধার Jul 19, 2025
img
গায়ানার কাছে হেরে টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন ভঙ্গ হলো রংপুর রাইডার্সের Jul 19, 2025
img
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের বিরুদ্ধে ১০ বিলিয়ন ডলারের মানহানির মামলা ট্রাম্পের Jul 19, 2025
img
নির্বাচনের জন্য আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ : আব্দুন নূর তুষার Jul 19, 2025
img
মুক্তির এক বছর আগেই শুরু নোলানের 'দ্য ওডিসি'র টিকিট বিক্রি! Jul 19, 2025
img
ঢাকায় সমাবেশে আসার পথে সড়কে প্রাণ গেল জামায়াত নেতার Jul 19, 2025