যুক্তরাষ্ট্র সামরিক এবং প্রযুক্তি-সম্পর্কিত সরঞ্জাম বানাতে চায়, টি-শার্ট বা জুতা নয়: ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তার শুল্কনীতি বা ট্যারিফ আরোপের মূল লক্ষ্য হলো দেশে (যুক্তরাষ্ট্রে) সামরিক সরঞ্জাম এবং প্রযুক্তি-সম্পর্কিত পণ্যের উৎপাদন বাড়ানো—টি-শার্ট বা জুতা বানানো নয়।

সোমবার (২৬ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

স্থানীয় সময় রোববার নিউ জার্সি থেকে এয়ারফোর্স ওয়ানে ওঠার আগে সাংবাদিকদের মার্কিন রিপাবলিকান এই প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমরা সত্যি বলতে টি-শার্ট বা মোজা বানাতে চাই না। আমরা এমন কিছু বানাতে চাই যা বড়, গুরুত্বপূর্ণ—যেমন কম্পিউটার চিপ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক যন্ত্র, ট্যাংক আর জাহাজ।”

তিনি বলেন, “আমরা স্নিকার্স এবং টি-শার্ট তৈরি করতে চাই না। আমরা সামরিক সরঞ্জাম তৈরি করতে চাই। আমরা বড় জিনিস তৈরি করতে চাই। আমরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কাজ করতে চাই।”

ট্রাম্প বলেন, তিনি গত ২৯ এপ্রিল দেওয়া মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্টের এক মন্তব্যের সঙ্গে একমত—যেখানে বেসেন্ট বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিশাল টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি থাকা দরকার নেই।

তার এই মন্তব্যে “ন্যাশনাল কাউন্সিল অব টেক্সটাইল অর্গানাইজেশন্স” নামে একটি সংগঠন কড়া প্রতিক্রিয়া জানায়।

এদিকে আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশন (এএএফএ) ট্রাম্পের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় জানায়, তার এই শুল্কনীতি বাস্তবায়ন হলে যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ ভোক্তাদের ওপর চাপ বাড়বে।

সংগঠনের প্রেসিডেন্ট স্টিভ ল্যামার বলেন, “আমরা যে জামাকাপড় ও জুতা পরি, তার ৯৭ শতাংশই আমদানি করা। এবং এই খাতটি এরই মধ্যে সবচেয়ে বেশি শুল্কের আওতায় রয়েছে। আরও ট্যারিফ মানে হলো—আমেরিকান নির্মাতাদের জন্য খরচ বাড়বে এবং সাধারণ মানুষের জন্য পণ্যের দাম বাড়বে।”

এর আগে ট্রাম্প গত শুক্রবার ফের কঠোর অবস্থান নিয়ে ঘোষণা দেন, আগামী ১ জুন থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করতে চান তিনি। এমনকি, অ্যাপলের আমদানিকৃত আইফোনের ওপরেও ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দেন তিনি।

তবে রোববার তিনি কিছুটা নমনীয় হয়ে জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আলোচনা চালাতে ৯ জুলাই পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছে।

আরআর/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
দরিদ্রদের দিকে সর্বদা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিত জুবিন: জিৎ গাঙ্গুলী Nov 19, 2025
img
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সেনাবাহিনী সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিল: প্রধান উপদেষ্টা Nov 19, 2025
img
শুভকামনা ‘বান্টু দা’ বলে মুশফিককে শুভেচ্ছা বার্তা দিলেন মাশরাফি Nov 19, 2025
img
একদিকে রায় অন্যদিকে মবক্রেসি, কিসের আলামত জানি না: মির্জা ফখরুল Nov 19, 2025
img
গণতন্ত্র ছাড়া দেশের কোনো ভবিষ্যৎ নেই, সতর্ক করলেন মির্জা ফখরুল Nov 19, 2025
img
অবৈধ মোবাইল ফোন বন্ধ হওয়া নিয়ে ফয়েজ তৈয়্যবের বার্তা Nov 19, 2025
img
এবার ভারত সফরে আফগান বাণিজ্যমন্ত্রী Nov 19, 2025
img
আসুন সবাই মিলে মিশে কাজ করি: জয়নুল আবদিন Nov 19, 2025
img

জুলাই গণহত্যা

জাতিসংঘ প্রতিবেদনকে ঐতিহাসিক রূপে স্বীকৃতি দিয়ে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ Nov 19, 2025
img
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘিরে দেশে অস্থিরতা নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Nov 19, 2025
img
‘ধুরন্ধর’ এর ট্রেলারে রণবীর সিংয়ের অগ্নিমূর্তি চমকে দিল দর্শকদের Nov 19, 2025
img
তামান্নাকে ভুলে ফাতিমাকে মন দিয়েছেন বিজয়! Nov 19, 2025
img
অভিনেত্রীর ছদ্মবেশে হয়রানি, ক্ষুব্ধ ‘দৃশ্যম’ অভিনেত্রী শ্রিয়া Nov 19, 2025
img
কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী সঞ্জীব চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকী আজ Nov 19, 2025
img
ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সুযোগ হারালে আরো ৫৪ বছর অপেক্ষা করতে হবে : ধর্ম উপদেষ্টা Nov 19, 2025
img
ট্রাম্পকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট মাদুরো Nov 19, 2025
img
চানখারপুলে ছয় হত্যায় তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য শেষ, জেরা ২৩ নভেম্বর Nov 19, 2025
img
তারেক রহমানকে নিয়ে তথ্যচিত্র মুক্তি পাবে আগামীকাল Nov 19, 2025
img
শেখ মুজিব দেশকে পাকিস্তানের বদলে ভারত বানিয়েছিল: রাশেদ প্রধান Nov 19, 2025
img
নাসিরুদ্দিনের বক্তব্যে খারাপ লেগেছিল ফারহানের Nov 19, 2025