জামায়াত নেতা আজহারের আপিলের রায় আজ

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে আজ রায় দেবেন আপিল বিভাগ।

মঙ্গলবার (২৭ মে) সকালে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৭ বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করবেন। রায় ঘোষণার জন্য বিষয়টি কার্যতালিকার শীর্ষে রাখা হয়েছে। এই রায়ের দিকে তাকিয়ে আছে জামায়াতে ইসলামীর লাখ লাখ নেতাকর্মী।

এর আগে ৮ মে এই মামলায় এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিলের শুনানি শেষ হয়।

২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। তখনকার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ রায় দেন। পরে এই রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করেন জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলাম।

২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আজহারকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রংপুর অঞ্চলে ১২৫৬ ব্যক্তিকে গণহত্যা-হত্যা, ১৭ জনকে অপহরণ, একজনকে ধর্ষণ, ১৩ জনকে আটক, নির্যাতন ও গুরুতর জখম এবং শতশত বাড়ি-ঘরে লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগের মতো নয় ধরনের ছয়টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয় এটিএম আজহারের বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগের মধ্যে ১ নম্বর বাদে বাকি পাঁচটি অভিযোগে তাকে ট্রাইব্যুনাল মৃত্যুদণ্ড দেন। যদিও এটি প্রহসনের রায় বলে আখ্যায়িত করে আসছে জামায়াতে ইসলামী।

২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি ১১৩ যুক্তিতে জামায়াত নেতা আজহারকে নির্দোষ দাবি করে খালাস চেয়ে আপিল করেন তার আইনজীবীরা। আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় ৯০ পৃষ্ঠার মূল আপিলসহ ২৩৪০ পৃষ্ঠার আপিল দাখিল করা হয়। 

আরএম/এসএন


Share this news on:

সর্বশেষ

img
২৪-এর আন্দোলনে শহীদ আবু সাইদ, মুগ্ধদের দলীয় করণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে: ডা. জাহিদ হোসেন May 31, 2025
img
দেশের বাজারে ফের কমেছে জ্বালানি তেলের দাম, বেড়েছে কেরোসিনের দাম May 31, 2025
img
এদেশে যদি সত্যিকারের সংস্কার করে থাকেন, তিনি হচ্ছেন জিয়াউর রহমান: সেলিমুজ্জামান সেলিম May 31, 2025
img
পাঁচ মাসে ভারতে করোনায় প্রাণ গেল ২২ জনের May 31, 2025
img
ঈদে ইউটিউবে আসছে ইয়াশ-তিশা জুটির ‘কিসমত’ May 31, 2025
img
শেখ মুজিবের মৃত্যুর পর যারা ক্ষমতায় বসেছিল, তারা আওয়ামী লীগের একটি অংশ ছিল: দুলু May 31, 2025
বিসিবির নতুন সভাপতি আমিনুল: এতদিন কোথায় ছিলেন, কী করতেন ? May 31, 2025
img
শহীদদের আত্মত্যাগ যেন বৃথা না হয়: ডাঃ তাহের May 31, 2025
img
জিএম কাদেরের বাসায় হামলার মামলা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রেকর্ড না হলে থানা ঘেরাওয়ের ঘোষণা May 31, 2025
img
জামায়াতকে ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া যাবে না, থুথু দিয়ে ভাসিয়েও দেয়া যাবে না: ড. মাসুদ May 31, 2025
img
অন্যায়ভাবে নাহিদ এবং আমাকে টেনে আনা হয়েছে: ফয়েজ আহমদ May 31, 2025
img
জার্মানিতে বাড়ির ছাদে ভেঙে পড়ল বিমান May 31, 2025
img
সীমান্ত দিয়ে পুশ-ইন, ময়মনসিংহের গৌরীপুরে আটক ভারতীয় নারী May 31, 2025
img
চিকিৎসা শুরুর আগেই দীপিকার শরীরে ছড়িয়ে পড়েছে ক্যানসার? May 31, 2025
img
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে জলাবদ্ধতা, যানজটের ভোগান্তি May 31, 2025
img
ফরিদপুরে বৈষম্যবিরোধী নেত্রীর ওপর হামলার ঘটনায় থানার ওসিকে প্রত্যাহার May 31, 2025
img
বরিশালে জাতীয় পার্টির বিক্ষোভ মিছিলে হামলা May 31, 2025
img
সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে শাসক আবারও দানবে পরিণত হতে পারে: ড. বদিউল আলম মজুমদার May 31, 2025
img
বিসিবির নতুন নেতৃত্বকে সাধুবাদ জানিয়েছে আইসিসি : ক্রীড়া উপদেষ্টা May 31, 2025
img
এনসিপির সঙ্গে ৩ স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশের দূতাবাস প্রতিনিধিদের বৈঠক অনুষ্ঠিত May 31, 2025