সরকারি ক্রয় নীতি পাস, বিধিবিধান তৈরি হলেই প্রয়োগ : পরিকল্পনা উপদেষ্টা

ইতোমধ্যেই সরকারি ক্রয় নীতি অনুমোদন পেয়েছে। এখন বিধিবিধান তৈরি হলেই এটি বাস্তবায়ন শুরু হবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।

আজ মঙ্গলবার (৩ জুন) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, সরকারি ক্রয় নীতি আগে ছিল না। অনেক দিন ধরেই আমরা বলছিলাম একটি সুসংগঠিত নীতিমালা থাকা দরকার। এখন সেটি অনুমোদিত হয়েছে। বিধিবিধান প্রণয়নের কাজ চলছে। খুব শিগগিরই এটি প্রয়োগে যাবে।

তিনি বলেন, এই নীতির মাধ্যমে সরকারি পণ্য ও সেবা ক্রয়ে স্বচ্ছতা ও দক্ষতা বাড়বে। একদিকে যেমন সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে, অন্যদিকে স্থানীয় শিল্প ও প্রযুক্তির অগ্রগতির জন্যও এটি সহায়ক হবে।

পরিকল্পনা উপদেষ্টা জানান, শতভাগ ই-টেন্ডার নিশ্চিত করা হবে। সরকারি ক্রয়ের জন্য এখন পর্যন্ত যেসব প্রথাগত পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছিল, তাতে অনেক সময় ন্যায্য প্রতিযোগিতা ও উদ্ভাবনী উদ্যোগ বাধাগ্রস্ত হতো। নতুন নীতিতে সেসব সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করা হয়েছে।

সংবাদ স‌ম্মেল‌নে আরও উপ‌স্থিত ছি‌লেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, বিদ্যুৎ জ্বালানি সড়ক সেতু ও রেলপথ উপ‌দেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টার মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, বাণিজ্য বিমান বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টার শেখ বশিরউদ্দীন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশীদ, কেন্দ্রীয় ব‌্যাং‌কের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর ও এন‌বিআর চেয়ারম‌্যান মো. আবদুর রহমান খানসহ বি‌ভিন্ন আর্থিক খা‌তের প্রধানরা।

সোমবার (২ জুন) বিকেলে রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম বিটিভিসহ অন্যান্য বেসরকারি গণমাধ্যমে একযোগে বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। এটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম বাজেট।

প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। এটি চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মূল বাজেটের (৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা) তুলনায় ৭ হাজার কোটি টাকা কম। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বাজেটের আকার হ্রাস পাওয়ার ঘটনা এটি।

আরএম/এসএন 


Share this news on:

সর্বশেষ

img
‘দেবী চৌধুরানীর’ জন্য ধরে ধরে তলোয়ার চালানো শিখতে হয়েছিল শ্রাবন্তীকে Jun 05, 2025
প্রকাশ্যে এলো যুক্তরাষ্ট্র-ভারত টানাপড়েনের মূল কারণ Jun 05, 2025
বাসে অতিরিক্ত ভাড়া–ঈদের ছুটিতে ঢাকার বাইরে পাড়ি Jun 05, 2025
বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা নিয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ Jun 05, 2025
img
ঘুমানোর পোশাকে রেস্তোরাঁয় জানভি, সমালোচনার ঝড় Jun 05, 2025
img
আলুর হিমাগারে দই-মিষ্টি , ২ লাখ টাকা জরিমানা Jun 05, 2025
img
ঈদ সামনে রেখে ২৪ ঘণ্টায় যমুনা সেতুতে ৩ কোটি ৫৯ লাখ টাকা টোল আদায় Jun 05, 2025
img
লিবিয়া থেকে ১৬ জুন দেশে ফিরবেন ১৬৬ বাংলাদেশি Jun 05, 2025
img
ঈদের পরই শুরু মুশফিক-শান্তদের প্রস্তুতি ক্যাম্প Jun 05, 2025
img
লন্ডনের উদ্দেশে ১ মাস পর ঢাকা ছাড়লেন ডা. জুবাইদা রহমান Jun 05, 2025
img
‘কতো মিথ্যাবাদী একটা সরকার হতে পারে’ Jun 05, 2025
দলের কাউকে ব্যক্তিগতভাবে টাকা না দেওয়ার অনুরোধ এনসিপির Jun 05, 2025
img
‘বছরজুড়ে বিফ কাবাব, ঈদের আগে পশুপ্রেম’ : সমাজ মাধ্যমে ইলিয়াস হোসেনের পোস্ট Jun 05, 2025
img
বাণী বসুর গল্পের অংশ হতে পেরে নিজেকে ধন্য বলে মনে করছি : সন্দীপ্তা Jun 05, 2025
img
আ. লীগের ‘লুটপাটের’ বাজেটের সঙ্গে এই বাজেটের পার্থক্য নেই : মাসুদ কামাল Jun 05, 2025
img
আদিত্যর সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙার পর, এবার আর ভুল করতে চান না অনন্যা Jun 05, 2025
img
সংবাদমাধ্যমে ভুল তথ্য প্রচারে উদ্বেগ প্রকাশ প্রেস সচিবের Jun 05, 2025
img
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাস-অটোরিকশার সংঘর্ষে প্রাণ গেল ৩ জনের Jun 05, 2025
img
উত্তরে ছুটছে ঢাকাবাসী, যমুনা সেতুর পশ্চিম পাড়ে যানবাহনের দীর্ঘ সারি Jun 05, 2025
নবীজি কেন একবার হজ করেছিলেন | ইসলামিক জ্ঞান Jun 05, 2025