চট্টগ্রামে পবিত্র ঈদুল আজহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে জমিয়তুল ফালাহ ময়দানে। মাঠের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) মাঠ পরিদর্শন শেষে মেয়র জানান, ঈদের প্রধান জামাত হবে শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় এবং দ্বিতীয় জামাত সকাল সাড়ে ৮টায়।
প্রায় ৪০ হাজার মুসল্লির জন্য নামাজের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মুসল্লিদের জন্য মাঠে থাকবে ১৪২টি সিলিং ফ্যান ও ৭০টি স্ট্যান্ড ফ্যান। ছাউনি ও কার্পেটিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। নিরাপত্তায় থাকবে সিসিটিভি ক্যামেরা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রশিক্ষিত সদস্যরা।
মাঠে মুসল্লিদের পানির প্রয়োজন মেটাতে পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। অতিরিক্ত পানির জন্য বিশেষ গাড়িও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জামাত শেষে যেন মুসল্লিরা নির্বিঘ্নে বের হতে পারেন, সেজন্য প্রবেশ ও বের হওয়ার পথ আরও প্রশস্ত করা হয়েছে।
কোরবানির পর নগরীর পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মেয়র জানান, ৬ থেকে ৮ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির রক্ত ও বর্জ্য অপসারণ করে বিকেল ৫টার মধ্যে নগরীকে সম্পূর্ণ পরিচ্ছন্ন করা হবে। ব্লিচিং পাউডার বিতরণের পাশাপাশি বর্জ্য অপসারণে প্রয়োজনীয় জনবল ও সরঞ্জাম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দামপাড়া গেস্ট হাউসের নিচে কন্ট্রোল রুম চালু থাকবে, যেখান থেকে মেয়র নিজে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম মনিটর করবেন।
পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে ওয়ার্ড সচিব, সুপারভাইজর, আঞ্চলিক কর্মকর্তা, রাজনৈতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোকে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। কোরবানির পশুর চামড়া সংরক্ষণের জন্য অক্সিজেন ও বাইজিদ এলাকায় নির্ধারিত স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।
চসিকের ব্যবস্থাপনায় নগরীর আরও ৯টি স্থানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি জামাত শুরু হবে সকাল সাড়ে ৭টায়। এই জামাতগুলো অনুষ্ঠিত হবে লালদীঘির পাড় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন শাহী জামে মসজিদ, হযরত শেখ ফরিদ (র.) চশমা ঈদগাহ মসজিদ, সুগন্ধা আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ, চকবাজার চসিক জামে মসজিদ, জহুর হকার্স মার্কেট জামে মসজিদ, দক্ষিণ খুলশী (ভিআইপি) আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ, আরেফীন নগর কেন্দ্রীয় কবরস্থান জামে মসজিদ, সাগরিকা গরুবাজার জামে মসজিদ এবং মা আয়েশা সিদ্দিকী চসিক জামে মসজিদে। এছাড়া নগরীর বিভিন্ন মসজিদ ও ঈদগাহেও স্থানীয়ভাবে ঈদের জামাতের আয়োজন করা হবে।
এসএন