শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ স্কিমে বাংলাদেশ–দক্ষিণ কোরিয়ার সমঝোতা স্বাক্ষর

কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের জন্য টেকসই ক্ষতিপূরণ স্কিম প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার ও দক্ষিণ কোরিয়ার স্বনামধন্য সামাজিক সুরক্ষা প্রতিষ্ঠান কে-কমওয়েল-এর মধ্যে একটি সমঝোতা পত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে। 


স্থানীয় সময় বুধবার (৫ জুন) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অবস্থিত আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সদর দপ্তরে এ সমঝোতা পত্র স্বাক্ষর হয়। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের তথ্য বিবরণীতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে এ সমঝোতা পত্র স্বাক্ষর করেন। বাংলাদেশে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রকল্প (ইআইএস) বাস্তবায়নের জন্য পুনর্বাসন পরিষেবা, পেশাগত রোগ কভারেজ ও প্রশাসনিক ব্যয় বিষয়ে গভীর সমীক্ষা পরিচালনায় দু’দেশ একত্রে কাজ করবে। ইআইএস বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট নীতিনির্ধারক, প্রশাসনিক ইউনিট ও স্টেকহোল্ডারদের জন্য প্রশিক্ষণ ও কারিগরি সহায়তা প্রদান করা হবে। 

সেই সঙ্গে শ্রমিক ও মালিক প্রতিনিধির পরামর্শ গ্রহণ করা হবে। সম্ভাব্যতা সমীক্ষা শেষে একটি পূর্ণাঙ্গ জাতীয় ইআইএস চালু করার লক্ষ্যে উভয় দেশ কাজ করবে। এটি বাংলাদেশের শ্রমিকদের জন্য ন্যায্য ও কার্যকর সুরক্ষা নিশ্চিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

২০২৪ সালে বাংলাদেশের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল দক্ষিণ কোরিয়ার কে-কমওয়েল (কোরিয়া ওর্য়াকার্স কমপেনসেশন অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার সার্ভিস) পরিদর্শন করে এবং ওডিএ-ভিত্তিক সহযোগিতার পথ সুগম হয়। আইএলও-এর ২০১৫ সাল থেকে চলমান গবেষণা ও চলতি পাইলট প্রকল্পের অভিজ্ঞতাকে ভিত্তি করে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়।

উভয় দেশ আইএলও’র কনভেনশন ১২১ (কর্মক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ সুবিধা, ১৯৬৪) অনুযায়ী কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ সমঝোতা পত্র আইনি বাধ্যবাধকতা তৈরি না করলেও ভবিষ্যৎ প্রযুক্তিগত সহযোগিতা ও জাতীয় ইআইএস বাস্তবায়নের ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে।

এ প্রকল্পে আইএলও, জিআইজেড এবং বাংলাদেশের শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষায় অংশীদারদের সম্পৃক্ততা রয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার কে-কমওয়েল তাদের কারিগরি জ্ঞান ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে বাংলাদেশের টেকসই ক্ষতিপূরণ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সহায়তা করবে।

এফপি/এস এন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
বাংলাদেশকে হারিয়ে ইতিহাস গড়তে চাই : বালবির্নি Nov 10, 2025
শাকিব খানের নতুন সিনেমায় বলিউডের জ্যাকি শ্রফ! Nov 10, 2025
img
১৩ নভেম্বর ঘিরে তৎপর আ.লীগ, কঠোর অবস্থানে সিএমপি Nov 10, 2025
রাতেই সিদ্ধান্ত বদলে ফের রাস্তায় প্রাথমিক শিক্ষকরা! Nov 10, 2025
ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের সামনে দিনে দুপুরে গুলিবিদ্ধ ১ Nov 10, 2025
img
আবারও খালিস্তানপন্থিদের টার্গেটে গায়ক দিলজিৎ Nov 10, 2025
img
সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৯ টাকা ২৭ পয়সা বাড়ানোর সুপারিশ Nov 10, 2025
img
বাংলাদেশের সাথে সাংস্কৃতিক সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহী মালদ্বীপ Nov 10, 2025
img
নির্বাচনের সঙ্গে গণতন্ত্রের কোনো সম্পর্ক নেই : ফরহাদ মজহার Nov 10, 2025
img
হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে প্লট কেলেঙ্কারি মামলার শুনানি চলছে Nov 10, 2025
img
যুক্তরাষ্ট্রে শাটডাউন সংকটের অবসান, সিনেটে বিল পাস Nov 10, 2025
img
জানুয়ারির মধ্যেই শেষ হচ্ছে আবু সাঈদ হত্যার বিচার: প্রসিকিউশন Nov 10, 2025
img
হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করেন ইমরান হাশমি Nov 10, 2025
img
শেখ হাসিনাকে জিয়াউর রহমানের অর্ধাঙ্গিনী বলা বিএনপি নেতাকে শোকজ Nov 10, 2025
img
পশ্চিমবঙ্গে শীতের আমেজ শুরু Nov 10, 2025
img
রাজনীতিতে নতুন কর্তৃত্ববাদ, নতুন জবরদস্তির আলামত দেখা যাচ্ছে: সাইফুল হক Nov 10, 2025
img
আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি Nov 10, 2025
img
বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে বড় লাফ Nov 10, 2025
img
সুহার্তোকে ‘জাতীয় বীর’ ঘোষণা, আপত্তি মানবাধিকারকর্মীদের Nov 10, 2025
img
নতুন রূপে ফ্যাসিবাদের পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে: সাইফুল হক Nov 10, 2025