রাষ্ট্র পরিচালনায় গণতন্ত্রই কার্যকর বলে বিশ্বাস খালেদা জিয়ার: মির্জা ফখরুল

একমাত্র গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা রাষ্ট্রের জন্য কার্যকর, এমনটাই বিশ্বাস করেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। ঈদুল আযহার দিন রাতে গুলশানে তার বাসায় ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে এ কথা জানান দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার (খালেদা জিয়া) সঙ্গে নির্বাচন নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।

এর আগে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানো শেষে মির্জা ফখরুল বলেন, ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচনের সময় নির্ধারণ সরকারের সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নয়।

ঈদুল আযহার দিন রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে বিএনপির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা ও দোয়ার আয়োজনে সকাল থেকেই সমাধিতে ভিড় করেন নেতাকর্মীরা। শ্রদ্ধা ও মোনাজাতে অংশ নেন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ দলের শীর্ষ নেতারা। দোয়া শেষে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নির্বাচনের ঘোষিত সময় নিয়ে মতামত জানান।

তিনি বলেন, ‘এ বছরের ডিসেম্বরই নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত সময়। বরাবরই দাবি ছিল যে, আমরা ডিসেম্বরের মধ্যে এই নির্বাচন চেয়েছিলাম। জনগণের প্রত্যাশাও তাই ছিল। জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি এবং যে সময়টি নির্ধারণ করা হয়েছে সময়টি বাংলাদেশে নির্বাচনের জন্য সঠিক সময় নয়। আমরা মনে করি যে, ডিসেম্বরেই নির্বাচন হওয়া সম্ভব এবং সেটাই জাতির জন্য সবচেয়ে উপযোগী হবে।’

রাতে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন বিএনপি নেতারা। গুলশানের ফিরোজায় সাক্ষাৎ শেষে বেরিয়ে মির্জা ফখরুল কথা বলেন গণমাধ্যমের সাথে। জানান, খালেদা জিয়া মনে করেন একমাত্র গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাই রাষ্ট্রের জন্য কার্যকর। তিনি বলেন, ‘নেত্রীর সঙ্গে যখন আমরা কথা বলি, স্বাভাবিকভাবেই আমরা নতুনভাবে অনুপ্রাণিত বোধ করি।’

‘গণতন্ত্রের প্রতি তার যে অবিচল আস্থা, সেই আস্থা তিনি সবসময় প্রকাশ করেন এবং তার প্রতিটি কথার মধ্যে আমরা সেই বিষয়টা দেখতে পাই। তিনি যে বিশ্বাস করেন যে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ছাড়া কোনো ব্যবস্থাই ঠিক সেইভাবে রাষ্ট্রের উপকার করতে পারে না।’

বেগম খালেদা জিয়া দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এবং দোয়া চেয়েছেন বলে জানান বিএনপি মহাসচিব।


পিএ/টিকে 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
কত মৌমাছি ছিল আপনার পাশে, তারা আসলে মাছি ছিল ভাইয়া- জন্মদিনে ফেরদৌসের উদ্দেশে সাইমন Jun 08, 2025
img
আপনি তো দেশে যুদ্ধ বাঁধিয়ে দিচ্ছেন—ইউনূসকে লক্ষ করে মাসুদ কামাল Jun 08, 2025
img
এড শিরান-অরিজিৎ সিং জুটিতে 'স্যাফায়ার' মাতালো বিশ্ব, চমক দেখালেন শাহরুখও Jun 08, 2025
img
বলিউডে অভিষেক আমির খানের মায়ের, একই সিনেমায় দেখা যাবে মা-ছেলেকে Jun 08, 2025
তাণ্ডব শুরুর হুমকি দিলেন ক্ষুব্ধ ভক্তরা Jun 08, 2025
img
নির্বাচন ইস্যুতে সরকার নিরপেক্ষতা হারাচ্ছে: আমীর খসরু Jun 08, 2025
মেঘালয়ে হানিমুন, চাঞ্চল্যকর যে ঘটনার কেন্দ্রে নবদম্পতি Jun 08, 2025
সরকার পতনের আভাস আগেই পেয়েছিলেন ওবায়দুল কাদের! Jun 08, 2025
নির্বাচন নিয়ে মুখ খুললেন ওবায়দুল কাদের Jun 08, 2025
img
অশালীনতার প্রতিবাদে নিজেকে বাঁচাতে যা করেছিলেন জনি লিভারকন্যা Jun 08, 2025
img
দ্বিতীয়বারের মতো করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন নেইমার Jun 08, 2025
img
‘জামায়াতকে এক পকেটে, বিএনপিকে আরেক পকেটে রাখছেন ড. ইউনূস’ : গোলাম মাওলা রনি Jun 08, 2025
img
ভারতের টেস্ট দলের অধিনায়কের বিবেচনায় আসতে যাচ্ছেন শ্রেয়াস আইয়ার Jun 08, 2025
img
কোচকে মারধরের অভিযোগে, কলম্বিয়া দল থেকে বাদ পড়লেন ফুটবলার Jun 08, 2025
img
টানা বর্ষণে ধসে পড়ছে মাধবকুণ্ড, পর্যটকদের চলাচলে ঝুঁকি Jun 08, 2025
img
মঙ্গল গ্রহে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রযুক্তি আবিষ্কারের পথে চীন Jun 08, 2025
img
কু‌ষ্টিয়ায় নিজ ঘর থেকে ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার, পাশে পিস্তল-চিরকুট Jun 08, 2025
img
এমবাপ্পেকে ছাড়াই চ্যাম্পিয়ন পিএসজি, ‘এটা তাদের প্রাপ্য’— বললেন সাবেক অধিনায়ক Jun 08, 2025
img
ভালুকায় স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ Jun 08, 2025
img
কাতারের জাতীয় দলে ডাক পেলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাবিল Jun 08, 2025