নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তায় জনমনে উদ্বেগ: আমিনুল হক

এপ্রিল মাসে জাতীয় নির্বাচনের রোড ম্যাপ ঘোষণা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তায় জনমনে ইতোমধ্যেই উদ্বেগ তৈরি করেছে; সরকার তার নিজের নিরপেক্ষতা হারিয়ে ফেলেছে বলেও মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমিনুল হক।

সোমবার (০৯ জুন) বিকেলে চাঁদপুর জেলার উত্তর মতলব ইমামপুর পল্লী মঙ্গল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের মেগা ফাইনাল খেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আমিনুল হক বলেন, বাংলাদেশের জনগণ চায় আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হবে। কিন্তু ডিসেম্বরের নির্বাচনকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস কোন উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে জন্য এবং কোন দলের সহযোগিতা নিয়ে এপ্রিল মাসের কথা বলছেন, এর ভিতরে কি ষড়যন্ত্র রয়েছে, কোন দোসররা জড়িত রয়েছে, কি উদ্দেশ্য রয়েছে। জাতি তা জানতে চায়। এর ফলে সরকার তার নিরপেক্ষতা হারিয়ে ফেলেছে।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে গত ১৫ বছর মানুষ ভোট দিতে পারে নাই। প্রত্যেকটি মানুষ উন্মুখ হয়ে ভোট দেওয়ার জন্য বসে আছে’।

আমিনুল হক দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, আমাদের দলের সিনিয়র নেতারা এবং বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনের সব রাজনৈতিক দল বলেছে- আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন হতে হবে এবং সেই নির্বাচনের জন্য আপনারা প্রস্তুতি নেন।

এপ্রিল মাসে নির্বাচন নিয়ে সময় ও উদ্দেশ্য দুটোতেই প্রশ্নবিদ্ধ উল্লেখ করে আমিনুল হক বলেন, এই সময়টা হচ্ছে ঝড়-বৃষ্টির সময়। এই সময়ে মানুষ ঠিক মতো রাস্তা ঘাটে বের হতে পারে না। পাবলিক পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে স্কুল প্রতিষ্ঠানের কক্ষগুলোতে যে নির্বাচনের বুথ ব্যবহার করা হয়, পরীক্ষার সময়ে সেই বুথ গুলো ব্যবহার করা যাবে না।

তিনি আরও বলেন, এই সময়ে ভোট দিয়ে তিনি (প্রধান উপদেষ্টা) কার উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করার জন্য ভোটের সময়টি এপ্রিল মাসে দিয়েছেন। আস্তে আস্তে কিন্তু সাধারণ মানুষ একটি ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন।

ডিসেম্বর মাসের ভিতরেই নির্বাচন আয়োজনের দাবি করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ আগামী ডিসেম্বরের ভিতরে নির্বাচন চায়। কারণ ভোটের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সময় ডিসেম্বর।

আরএম 


Share this news on:

সর্বশেষ

img
সরকারি ছুটি শেষের আগেই ঢাকামুখী মানুষের ভিড় Jun 10, 2025
img
চামড়ার বিশ্ববাজার ধরতে সাভারে আরেকটি সিইটিপি নির্মাণের উদ্যেগ Jun 10, 2025
img
লর্ডসে অনুশীলন করতে না পেরে ক্ষুব্ধ কামিন্স Jun 10, 2025
img
সাবেক এমপি আনারের কোটি টাকার গাড়ি পাওয়া গেল কুষ্টিয়ায় ব্হুতল ভবনের পার্কিংয়ে Jun 10, 2025
img
সোনমের জন্মদিনে ব্যাগ হাতে নজর কাড়লেন ভূমি Jun 10, 2025
img
ইতালিতে ২৫ লাখ প্রবাসীর জন্য দুঃসংবাদ, বহুল প্রত্যাশিত গণভোট বাতিল Jun 10, 2025
img
আজ যেমন থাকবে ঢাকার আবহাওয়া Jun 10, 2025
img
বাণিজ্য যুদ্ধ সমাধানে লন্ডনে আলোচনায় বসলো যুক্তরাষ্ট্র-চীন Jun 10, 2025
img
চলমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় লস অ্যাঞ্জেলেসে মেরিন সেনা মোতায়েন Jun 10, 2025
img
মাত্র ২৯ বছর বয়সে অবসরে নিকোলাস পুরান Jun 10, 2025
img
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় একদিনে নিহত ৬০, মোট নিহত বেড়ে প্রায় ৫৫ হাজার Jun 10, 2025
img
মার্টিনেজ, গঞ্জালেজ নাকি আলমাদা—মেসির পাশে কাকে চান স্কালোনি? Jun 10, 2025
img
আজ থেকে শুরু হচ্ছে হাজিদের ফিরতি ফ্লাইট Jun 10, 2025
img
৬০ টাকার মেডিকেল টেপ ৪৮০ টাকায় বিক্রি, ফার্মেসিকে জরিমানা ৫০ হাজার Jun 10, 2025
img
দূষিত বায়ুর শহরে শীর্ষে দিল্লি, ঢাকা পঞ্চম Jun 10, 2025
img
সারাদেশে বৃষ্টির আভাস, বাড়তে পারে দিনের তাপমাত্রা Jun 10, 2025
img
ত্রাণসহ গ্রেটা থুনবার্গদের নেওয়া হলো নেতানিয়াহু'র দেশে Jun 10, 2025
img
বিমানে উঠতে গিয়ে হোঁচট, বাইডেনকে মনে করালেন ট্রাম্প Jun 10, 2025
img
বাংলাদেশের রাজনীতি এখনও শক্তি ও অর্থকেন্দ্রিক: রুমিন ফারহানা Jun 10, 2025
img
নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তায় জনমনে উদ্বেগ: আমিনুল হক Jun 10, 2025