সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে আচরণ অবমাননাকর, নীচতা: আব্দুন নূর তুষার

মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক আব্দুন নূর তুষার বলেছেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। তিনি চিকিৎসার জন্য বিদেশ গিয়েছেন। এই বিষয়টি নিয়ে তার সঙ্গে যে অবমাননাকর আচরণ করা হয়েছে, যে ধরনের বক্তব্য রাখা হয়েছে- এটা একজন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি, ৫ বারের এমপি এবং সংসদের স্পিকার, এরকম একজন লোক যার বয়স ৮০-এর বেশি, এরকম একজন লোক বিদেশে গিয়েছেন তার চিকিৎসা করতে, তার বিষয়ে যে ধরনের আলাপ করা হয়েছে, যে ধরনের বক্তব্য রাখা হয়েছে, যেভাবে এক ধরনের ধারণা তৈরি করা হয়েছে যে তিনি পালিয়ে গেছেন, তিনি আর ফিরবেন না, তিনি দেশত্যাগ করেছেন, আমি মনে করি, এটি অত্যন্ত অবমাননাকর। এটি এক ধরনের নীচতা।

মঙ্গলবার (১০ জুন) ইউটিউব চ্যানেলের এক আলোচনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অনেক অদ্ভুত অদ্ভুত কাজ করেছেন। ওনি একবার মধ্যরাতে সংবাদ সম্মেলনের করেছিলেন। তিনি মন্তব্য করেছেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদকে দরকার হলে ইন্টারপোল দিয়ে দেশে ফেরত আনা হবে।

আওয়ামী লীগের অনেক সিনিয়র নেতা তো দেশ থেকে চলে গেছেন, আর তো ফিরছেন না- এমন বিষয়ে তুষার বলেন, তাদের যাওয়া-না যাওয়ার সঙ্গে ওনার যাওয়া-না যাওয়ার তফাত আছে। ওনি যখন যাচ্ছেন, চিকিৎসার জন্য জন্য যাচ্ছেন, চিকিৎসার কাগজপত্র দিয়েই গেছেন। এসব কাগজ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে ছিল এবং যারা যেতে দিয়েছেন, তারা জানতেন, তিনি চিকিৎসার জন্য যাচ্ছেন, রোগটি কী তাও তারা জানতেন। ফলে আমি মনে করি না যে অন্যদের চলে যাওয়া, আর ওনার চলে যাওয়া একইরকম।

তিনি বলেন, তার সঙ্গে যে অবমাননাকর আচরণ করা হয়েছে, এ সংস্কৃতি চালু হলে ভবিষ্যতে যারা রাষ্ট্রপতি হবেন, এই ধরনের সম্মানজনক পদে থাকবেন– তারাও হয়ত এমন অবমাননাকর পরিস্থিতি দিয়ে যাবেন। এ বিষয়গুলো একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র তৈরির ক্ষেত্রে বাধা। যারা বলছেন সংস্কারের কথা, আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি বদলাতে হবে, তারা যখন এই ধরনের আচরণ করে, তখন তাদের সংস্কার করার যে সততা, উদ্দেশ্য তা নিয়ে প্রশ্ন উঠার সুযোগ হয় এবং তা হচ্ছেও। সংস্কারের একটা প্রথম বিষয় হতে পারে, আমাদের উপদেষ্টারা তো ভুল স্বীকার করেন না, এ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার উচিত তারা আবোল-তাবোল মন্তব্যের জন্য নিজের ভুল স্বীকার করা।

তিনি আরো বলেন, এক ঘটনাকে আরেক ঘটনা দিয়ে টেনে নিয়ে ক্ষোভ তৈরি করে লোকজন দিয়ে চাপ সৃষ্টি করে দাবি আদায় করানো, নিজের দাবি অন্যের মুখে তুলে দিয়ে, নিজের ইচ্ছাকে অন্যের মুখ দিয়ে চেয়ে তারপর সে অনুমতি দিয়ে দেওয়া- এসব আগের সরকারও করত।

এসবই তো হচ্ছে। এনসিপি যে সরকারের দল, এর মাস্টারমাইন্ড যে সরকারের ভেতরেই আছে- এটা তো পরিষ্কার।

এ মিডিয়া ব্যক্তিত্ব বলেন, কে দেশ থেকে যাবে আর কে যাবে না- তা নির্ধারণ হবে আইন দিয়ে। প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার আছে প্রয়োজনে বিদেশ যাওয়ার এবং বিদেশ থেকে ফিরে আসার। তিনি কবে বিদেশ যাবেন কবে ফিরবেন- এটা তার ইচ্ছা। শেখ কবির সাহেব যে চলে গেছেন, যে একটা সুর তৈরি করা হয়েছে, এক ধরনের হট্টগোল, এটা আসলে প্রয়োজন নাই। বিদেশ যাওয়ার পর ভিসা মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে সরকার পদক্ষেপ নিতে পারে। মজার বিষয় হলো, ভারত থেকে পিকে হালদারকে আনা হচ্ছে না।

জাতীয় নির্বাচন এপ্রিল মাসে নির্ধারণর বিষয়ে তিনি বলেন, ডিসেম্বরে ১৪ ও ১৬ ডিসেম্বর আছে। ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে বাঙালির গুরুত্বপূর্ণ দিবস আছে। বাঙালি জাতির সংগ্রামের শুরু মার্চ মাসে। ফলে ডিসেম্বর, ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে তারা নির্বাচন করছেন না। তারা এপ্রিল মাসে নির্বাচন করছেন মুক্তিযুদ্ধের আবেগ, চেতনা, স্মৃতি তথা এসবকে খর্ব করার জন্য।

এ রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, আসিফ নজরুল বলেছেন, এপ্রিলে নির্বাচন নেওয়া হয়েছে যাতে বেশি পরিমাণে তরুণ ভোটার ভোট দিতে পারে। এ সরকার নির্বাচনকে ম্যানিপুলেট করছেন। আরো বেশি তরুণ ভোটারকে ভোট দেওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছেন।

তিনি বলেন, এপ্রিল নির্বাচনের জন্য ভালো মাস নয়। এর আগে রমজান মাস আছে। এ মাসে মানুষ অনেক বেশি মাত্রায় তাদের ধর্ম-কর্মে জড়িত থাকেন। ওই সময়ে নির্বাচনের প্রচারণা, নির্বাচনের ডামাডোল, তাই না? একদিকে তারাবির নামাজ পড়া হবে, আরেকদিকে মাইক বাজবে- ব্যাপারটি কি এ রকম? রমজানের পবিত্রতা ক্ষুণ্ন করার সব ধরনের ব্যবস্থা তারা নিয়েছেন।

আব্দুন নূর তুষার বলেন, আমাদের জন্য বেশি ভোটার টার্নআউটের সময় হচ্ছে শীতকাল। অনেক লোক ভোট দিতে আসে শীতে। কারণ শীতে বৃষ্টি থাকে না, আবহাওয়াটা অনুকূলে থাকে। শীতে এক ধরনের আরামদায়ক পরিস্থিতিতে মানুষ ভোটের লাইনে দাঁড়ায়। শীতে ভোট বিএনপি চাইতে পারে। এটা কোনো অন্যায় না। গত যে নির্বাচনগুলো সব কিন্তু শীতকালে হয়েছে। ভুয়া হোক, আর যা-ই হোক, নির্বাচন তো শীতকালে হয়েছে।

তিনি বলেন, এপ্রিলে নির্বাচন নির্ধারণে জামায়াতের আমিরের কথা শুনবেন, না কি এখন লন্ডন গিয়ে তারেক জিয়ার কথা শুনবেন- এটা তো ইন্টেরিম সরকারের বিষয়। তবে তারা যে নির্বাচন নিয়ে নানা রকম ধানাইপানাই করেছেন- এটা তো পরিষ্কার, প্রমাণিত। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে তারা এপ্রিলে তারিখ দিয়েছেন। জুনের ৩০ তারিখের মধ্যে ভোট হবে- এটা তারা বলেই যাচ্ছিলেন। তারা তারিখ দিচ্ছিলেন না। যখন তারিখ দিয়েছেন, সেটা কাকতালীয়ভাবে হোক, বা ইচ্ছাকৃত- তা জামায়াতের আমিরের দাবির সঙ্গে মিলে গিয়েছে। আমি মনে করি, নির্বাচনের বিষয়ে এ ইন্টেরিম সরকারের যে আগ্রহ- সেটা প্রমাণিত হয়নি। তাদের বিভিন্ন উপদেষ্টার কথাবার্তায় ক্ষমতায় থেকে যাওয়ার আগ্রহ বেশিভাবে প্রবল হয়েছে। তাদের একজন উপদেষ্টা বলেছেন, জনগণ না কি তাদের গাড়ির কাচ নামালে বলে, আপনারা থাকেন। তারপর তাদের প্রেস সচিব ভিডিও করেছেন যে ইউনূস সাহেবকে সবাই বলছে, স্যার, আপনি ৫ বছর থেকে যান। তা বললেই থাকবেন? ভোট নিতে হবে না? কীসের ভিত্তিতে থাকবেন? অনির্বাচিত সরকার ৫ বছর ধরে থাকবেন! কেন? কী? কেউ কী ফেরেশতা না কি যে ওনারা এখানে দেশ বদলাতে পারেন, বাংলাদেশে আর কোনো লোক নাই দেশ চালানোর মতো? এটা তো সেই শেখ হাসিনার থিওরি, বিকল্প নাই, বিকল্প নাই! ওনারাও শেখ হাসিনার মতো বলেন, ইউনূসের বিকল্প নাই। এই ‘বিকল্প নাই’ থিওরির মধ্যে বাংলাদেশ আটকে থাকবে না কি?

এ মিডিয়া ব্যক্তিত্ব আরো বলেন, যখন আন্দোলন করেছেন, তখন বলেছেন, আমরাই বিকল্প, আমরাই সবার বিকল্প। আমরা একজনের বিকল্প আরেকজন। এমনকি যখন বিদেশে গিয়েছিলেন, উনি বলেছেন যে এই আন্দোলনে লিডার ছিল না, সবাই নিয়ে যাচ্ছিল। একজন চলে গেলে আরেকজন নিয়ে গিয়েছে। আর এখন তারা বলছেন, বিকল্প নেই, মানে কি?

ফলে ওনাদের কথাবার্তা মধ্যেই ইলেকশন বিষয়ক ধানাই পানাই আছে। এটা ওনারা নিজেরাই প্রকাশ করে ফেলেছেন, এটা ঢাকার মতো কোনো উপায় নেই। আর ওনাদের যে প্রেস সচিব বাংলাদেশ ইতিহাসের সবচেয়ে বিতর্কিত প্রেস সচিবে পরিণত হচ্ছে। ইদানীং মদ্যপান নিয়ে স্ট্যাটাস দিচ্ছে যে উনি মদ খান না। কিন্তু ওনার লোকজন মদ খেলে উনি বসে বসে দেখেন, এতে করে উনি প্রমাণ করে দিলেন যে ওই বারের মধ্যে ওনার সঙ্গে যদি কারো ছবি পাওয়া যায়, ওনি খাচ্ছিলেন না, অন্যরা খাচ্ছিলেন। পাশাপাশি এটাও যে লোকটা লিক করেছে, সে বা ওই বারের মধ্যে কি করছিল? ছবি লিক হয়েছে- এটা কার ছবি আমরা জানি না। কিন্তু যারই ছবিই হোক, বারের মধ্য থেকে ছবি লিক করছে, যে করছে, সে বারের মধ্যে কী করে?

তার মানে একটা মদ্যপায়ী সমিতি তৈরি হয়েছে। মদ্যপায়ী সমিতিতে কেউ মদ খেলে একজন বসে বসে দেখেন, তিনি মদ খান না।

প্রধান উপদেষ্টা-তারেক রহমানের সাক্ষাতের বিষয়ে তিনি বলেন, সাক্ষাৎ আসলে কে চেয়েছে? কার আগ্রহে সাক্ষাতটা হচ্ছে, আমার ধারণা যে প্রধান উপদেষ্টার আগ্রহে সাক্ষাৎকার হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টা না চাইলে তো তার সঙ্গে সাক্ষাৎ হওয়ার কথা না। ফলে যদি সাক্ষাৎ হয় এবং সাক্ষাৎটা যদি ঠিকমতো হয়ে থাকে, তাহলে তো তা প্রধান উপদেষ্টার আগ্রহ এবং সেখানে তিনি কী কথা বলবেন- এটা ট্রান্সপারেন্সি বজায় রাখার জন্য তাদের উচিত জয়েন্ট স্টেটমেন্ট দেওয়া। এই সাক্ষাৎকারে তারা কী নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং কী কী বিষয়ে একমত হয়েছে। এটা একসঙ্গে বলবেন। আর যদি সেটা না পারেন। তাহলে আলাদা আলাদাভাবে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষে তার প্রেস সচিব এবং তারেক রহমানের পক্ষে দায়িত্বশীল ব্যক্তি স্টেটমেন্ট দেবেন। আমরা মিলিয়ে দেখব যে কার কথা অধিকতর বিশ্বাসযোগ্য। তবে এই সাক্ষাতে প্রমাণিত হয়েছে যে রাজনৈতিকভাবে তারেক রহমান ও বিএনপি অনেক এগিয়ে আছেন। এনসিপি সকালে গেলে, রাতে গেল সাক্ষাৎ পেয়েছে। কিন্তু বিএনপি অপেক্ষা করতে হয়েছে। এখন ওখানে কী বক্তব্য বা কী কথাবার্তা হয় সেটা দেখার বিষয়।

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে টিউলিপের সাক্ষাতের বিষয়ে তিনি বলেন, বর্তমান বাস্তবতায় আমার ধারণা, প্রধান উপদেষ্টা সাক্ষাৎ করবেন না। এজন্য করবেন না যে সাক্ষাতের পরে এই সাক্ষাৎকারের যে ফলাফল সেটি এক ধরনের বিপক্ষে চলে যেতে পারে। টিউলিপের তো অনেক স্ববিরোধী বক্তব্য আছে। যেমন বিভিন্ন সময় বলেছেন যে তিনি ব্রিটিশ সিটিজেন এবং বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে তার কোনো আগ্রহ নাই।

টিউলিপ নিশ্চয় যদি বাংলাদেশের কিছু হতে চাইতেন, তাহলে এখানে এসে রাজনীতি করতেন। মানে তিনি ব্রিটেনেরই কিছু হতে চান। এখন তিনি দুর্নীতির অভিযোগ থেকে নিজেকে মুক্ত দেখতে চান?

তিনি এই দুর্নীতির অভিযোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এক ধরনের আলোচনায় যেতে চেয়েছেন। তিনি শেখ হাসিনার বোনের মেয়ে হওয়ার অপরাধে যাতে তাকে কোনো ধরনের হয়রানি করা না হয়। আমার ধারণা, এজন্যই তিনি চিঠিটা দিয়েছেন। এখন যদি প্রধান উপদেষ্টা দেখা না করেন, তাহলে উনি বলতে পারবেন যে আমি সাক্ষাৎ করতে চেয়েছি। তিনি করেননি। আর যদি সাক্ষাৎ করেন তাহলে তার (টিউলিপ) নিজের প্রমাণ তুলে ধরতে পারেন হয়ত। সেটা তুলে ধরলে যদি সেই যুক্তি তাদের সামনে কোনো কারণে এই সরকারের যুক্তিগুলো দুর্বল হয়ে যায়। তাহলেও কিন্তু সমস্যা!

ফলে দুই ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। ফলে এটা থেকে মুক্তি পাওয়ার একটাই উপায়- প্রধান উপদেষ্টা তিনি তার সময়ের অজুহাত দেবেন! বলবেন যে আমার পূর্বনির্ধারিত সফরসূচির সঙ্গে এই মিটিংয়ের কোনো সম্পর্ক নাই। তাই সময় দেওয়া সম্ভব না। আমার ধারণা, এটাই তিনি করবেন।

প্রধান উপদেষ্টার গত ১০ মাসে অনেকবার বিদেশ সফরের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা যতবার গিয়েছেন, রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে কমই গিয়েছেন। ওনার নিজের বিভিন্ন কাজকর্ম থাকে। এর মধ্যে পুরস্কার নেওয়া আছে। যেহেতু সেগুলো অফিসিয়াল ভিজিট না, এজন্য বিভিন্ন সময়ে প্রশ্ন উঠেছে যে তার পেছনে পতাকা নাই কেন? তিনি পতাকা মিটিংয়ে যাননি তো। সেজন্য পেছনে পতাকা ছিল না। তো এগুলো তো ওনারা ব্যাখ্যা করেন না।

আমার মনে হয় যে এতবার বিদেশে যাওয়া এটা আসলে তার অভ্যাসের অংশ। তিনি সারাজীবনে বিদেশে বেশি সময় কাটিয়েছেন। বিদেশে গেলে তার আয় হয়। তার তো ব্যক্তিগত বক্তব্য থেকে হয়ত অনেক টাকা পান। তার বক্তব্য শোনার জন্য বিদেশিরা টাকা-পয়সা দেয়। বক্তব্য শোনার জন্য তারা ডিনার মিটিং অর্গানাইজ করে। ফলে তার উপস্থিতি বিদেশে প্রয়োজন। বহু মানুষের স্বার্থের সঙ্গে তার বিদেশের যাত্রা জড়িত আছে। ফলে তাকে যেতে হবে। তিনি গিয়েছেন এবং তিনি যেরকম- বিদেশে যাবেন।

ওনি (প্রধান উপদেষ্টা) কোনো কথার উত্তর দেন? এই যে কথার উত্তর না দেওয়া- এটা কিন্তু ভেরি গুড টেকনিক। কারণ তাহলে আপনার মনের ভাব বুঝতে পারবে না। অপেক্ষাকৃত কম সমালোচনাও সম্ভবত হবে। আপনি দেখবেন যে সমালোচনায়ও ওনার কোনো উত্তর নেই।

শেষে আব্দুন নূর তুষার বলেন, ওনি যেহেতু বলেছেন, এপ্রিলে নির্বাচন করতেই হবে। না করলে উনি (প্রধান উপদেষ্টা) যে ভাঁওতা দিয়েছেন- সেটা আরেকবার প্রমাণিত হবে। ওনার উপরে মানুষের আস্থা নষ্ট হয়ে যাবে।

এফপি/ টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিনে নুহাশ পল্লীতে কেক কাটলেন শাওন ও পরিবার Nov 13, 2025
img
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নাশকতা ঠেকাতে চট্টগ্রামে মোড়ে মোড়ে বিএনপির অবস্থান Nov 13, 2025
img

গোলাম মাওলা রনি

সরকার এখন কোনো অবস্থাতেই ঝুঁকিতে যাবে না Nov 13, 2025
img
চুয়াডাঙ্গায় সাবেক মেয়র টোটন গ্রেপ্তার Nov 13, 2025
img
মানিকগঞ্জে গ্রেপ্তার হলেন আ.লীগ নেত্রী জেসমিন Nov 13, 2025
img
ঐক্যবদ্ধ জাতির সামনে নৈরাজ্যের জায়গা নেই : চিফ প্রসিকিউটর Nov 13, 2025
img
যশোরে পার্কিং করা বাসে দুর্বৃত্তদের আগুন Nov 13, 2025
img
বিলাল-হানিয়া অভিনীত নাটকের প্রথম পর্ব দেখে দর্শকদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া Nov 13, 2025
img
আগুনে মানুষ পুড়িয়ে মারার সংস্কৃতি আওয়ামী লীগের: রিজভী Nov 13, 2025
img
নারায়ণগঞ্জে ১২ ঘণ্টায় ২৭ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী গ্রেপ্তার Nov 13, 2025
img
আগামীর যুদ্ধক্ষেত্র হবে মহাকাশ: ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ Nov 13, 2025
img
প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ শুরু হবে দুপুর আড়াইটায় Nov 13, 2025
img
গুরুত্বপূর্ণ দুই অধ্যাদেশ সংশোধন নিয়ে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন বিমান উপদেষ্টা Nov 13, 2025
img
হার্টের জটিলতায় হাসপাতালে ভর্তির পর কেমন আছেন অস্কার Nov 13, 2025
img
সোনা হারিয়ে দেশে ফিরছেন বাংলাদেশের দুই আরচ্যার Nov 13, 2025
img
গোপালগঞ্জে গ্রামীণ ব্যাংকে দুর্বৃত্তদের হামলা Nov 13, 2025
img

আওয়ামী লীগের ‘ঢাকা লকডাউন’

সচিবালয়ে চলছে স্বাভাবিক কাজ Nov 13, 2025
img
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ‘লকডাউন’ ঘিরে ঢাবিতে শিক্ষার্থীদের আনাগোনা কম Nov 13, 2025
img
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন Nov 13, 2025
img
চট্টগ্রামে মোড়ে মোড়ে অবস্থান বিএনপি-জামায়াতের Nov 13, 2025