করোনা সংক্রমণ আবারও বাড়তে থাকায় রাজধানীসহ দেশের সব জেলা হাসপাতালেই কোভিড শয্যা প্রস্তুতের কাজ শুরু করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। চলতি সপ্তাহের শনিবারের মধ্যেই দেশের প্রতিটি জেলা হাসপাতালে নির্ধারিত সংখ্যক করোনা শয্যা প্রস্তুত থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান।
বুধবার (১১ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. মঈনুল আহসান বলেন, হাসপাতাল ব্যবস্থাপনায় আমরা সর্বোচ্চ প্রস্তুত। রোগী থাকুক বা না থাকুক, আমরা আমাদের জায়গা থেকে প্রস্তুত থাকব ইনশাআল্লাহ। বর্তমানে রাজধানীর কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে ৫০টি এবং মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২০টি বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ঢাকার বাইরে যাতে রোগীদের আসতে না হয়, সে উদ্দেশ্যে প্রতিটি বিভাগ ও জেলায় পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামে ইতোমধ্যে ১৫টি কোভিড শয্যা ও ৪টি আইসিইউ চালু করা হয়েছে। রাজশাহীতেও ১৫টি শয্যা প্রস্তুত এবং সেখানে আইসিইউ চালুর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০টি বেড প্রস্তুত আছে এবং সেখানে কিছু রোগী ভর্তি রয়েছেন। খুলনা মেডিকেলেও কোভিড শয্যা প্রস্তুত করা হয়েছে।
ডা. মঈনুল আরও বলেন, আমরা চাই না কেউ ঢাকায় এসে ভিড় করুক। প্রত্যেকেই যেন নিজ এলাকায় চিকিৎসা পায়, সে লক্ষ্যে আমরা প্রতিটি জেলায় প্রস্তুতি নিচ্ছি।
এদিকে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, করোনা সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি মানা, করোনা পরীক্ষা চালু, টিকা, ওষুধ, অক্সিজেন, আইসিইউ সরঞ্জাম এবং প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সামগ্রী প্রস্তুত রাখার পাশাপাশি সীমান্ত এবং বিমানবন্দরে নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।
করোনা মোকাবিলায় জনগণকেও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলেছে, উপসর্গ দেখা দিলে ঘরে থাকা, মাস্ক পরা এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। পাশাপাশি জনসমাগম এড়িয়ে চলা, হাত ধোয়া ও হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার মেনে চলাও গুরুত্বপূর্ণ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, পরিস্থিতির অবনতি হলে কোভিড পরীক্ষার পরিধি এবং শয্যা সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে।
এসএম/টিকে